“রোদ কুয়াশার দিন” বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: শুরুতেই অনুভূতির একটু ভাগবাটোয়ারা। শ্রাবণী আমার এক ডাক্তার বন্ধুর ছােটবােন। ওর প্রতি তীব্র আকর্ষণের অনুভূতি থেকেই উপন্যাসটি লিখেছিলাম। লেখার যে অদম্য এক ইচ্ছা তখন মনে উকি দিত, এ লেখাটির মধ্য দিয়ে তার একটা ছােটখাট পরীক্ষায় বােধহয় ভালােই করেছিলাম। শরৎচন্দ্র স্টাইলের প্রেমে নীরবতা ভেঙে শ্রাবণী এক সময় চিঠি লিখল। সে চিঠি যখন আমার ঠিকানায় পৌঁছল তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমি তখন দিনাকে (আমার স্ত্রী) বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। শ্রাবণী কী লিখেছিল তা আমার জানা হয় নি। কারণ চিঠিটা মাবােনের হাত হয়ে শেষমেশ দিনার হাতে গিয়ে পড়ল। শ্রাবণীকে নিয়ে লিখছি বলে দিনার রাগ করার কথা। অনেক বছর পর পুরনাে অনুভূতি বাইরে টেনে নিজেকে হালকা করছি সেটা ভাবলে রাগ নাও করতে পারে। শ্রাবণীর সাথে যােগাযােগের আর কোনাে চেষ্টাই করি নি। তবে আমার বিশ্বাস ও যেখানেই থাকুক না কেন সুখে আছে। ওর মাঝে সুখে থাকার অনেক কোয়ালিটি আছে।