স্বাধীনতার ঘোষণা ও বঙ্গবন্ধু

৳ 600.00

লেখক তপন কুমার দে
প্রকাশক তাম্রলিপি
ভাষা বাংলা
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখে মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী একটি কুচক্রীমহল দেশ এবং জাতির ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। কোনো কোনো সময় বঙ্গবীর জেনারেল এম.এ.জি ওসমানিকে আবার কোনো কোনো সময় জিয়াকে হিরো বানানোর চেষ্টা করে ওই মতলববাজরা। কৃচক্রীদের কুমতলব বুঝতে পেরে জেনারেল ওসমানি স্বাধীনতার ঘোষণা ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য ও মন্তব্য দিয়ে গেছেন। যার জন্য কুচক্রীগোষ্ঠি পরবর্তীতে জেনারেল জিয়াকে সামনে নিয়ে এসে বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু জেনারেল জিয়াও তার জীবত কালে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে কোন কুমন্তব্য করেননি। অথচ তার সহকর্মীরা তাই করে যাচ্ছে। এসব মতলবাজদের অপপ্রচার সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য ‘স্বাধীনতার ঘোষণা ও বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করা হয়। গ্রন্থের লেখা গুলোতে আছে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে মেজর জিয়া, অলি আহম্মদ, মীর শওকতও শাহজাহান সিরাজ সহ বহু রাজনীতিবিদ ও জ্ঞাণীগুনীদের মন্তব্য। বিভিন্ন প্রবন্ধে তাদের বক্তব্য সম্পর্কে জ্ঞাত হলেই দেশবাসী জানতে পারবে বিশেষ মহলটির মতলব এবং স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে।
সূচিপত্র
* স্বাধীনতার ঘোষাণা
* স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
* আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ
* স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কীয় প্রস্তাব
* আবুল মাল আবদুল মুহিত—স্বাধীনতার ঘোষণঅ ও মুজিবনগর সরকার
* কর্ণেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান—- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই
* আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন—স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু
* অধ্যাপক আবু সাইয়িদ— স্বাধীনতার ঘোষণা: উত্থাপিত বিতর্ক
* মুনতাসীর মামুন— এ শতকে স্বাধীনতার ঘোষানপত্র দিয়েছিল একমাত্র বাংলাদেশই
* বেলাল মুহাম্মদ— স্বাধীনতার ঘোষণা :পুনরুক্তি করে বলা
* এডভুকেট আমীন আহমেদ মন্টু—- স্বাধীনতার ঘোষক পরিপ্রেক্ষিতে ভাবনা
* জহিরুল ইসলাম— রক্তাক্ত বাংলা ও স্বাধীনতার ঘোষণা ক্ষণ
* সরদার সিরাজুল ইসলাম—– বঙ্গবন্ধু যেভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন
* অমৃত অধিকারী—- স্বাধীনতার ঘোষক কে?
* মযহারুল ইসলাম—- স্থপতি ও ঘোষক
* তপন কুমার দে– স্বাধীনতার ঘোষণা ও বঙ্গবন্ধু
* ডা. এস এ মালেক ——স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ আছে কি?
* মোহাম্মদ সেতাব উদ্দিন—- ইতিহাসে সত্য প্রতিষ্ঠিত হোক
* বাহাউদ্দীন চৌধুরী—– স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্ক
* মাহবুব উল আলম চৌধুরী—- স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে
* মুসা সাদিক—- ইথারে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেই টিক্কা খান গণহত্যার নির্দেশ দেন
* খোন্দকার ইব্রাতহিম থালেদ— ইতিহাস ঋজু, স্বচ্ছ
* এ এম এম শওকত আলী—- স্বাধীনতার ঘোষণা, হাইকোর্টের রায় ও বিতর্ক
* ড. আবদুল মতিন—- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা
* মাওলানা হোসেন আলী— ঘোষক বিতর্কের সমাধান
* ডা. এ এইচ এম জেহাদুল করিম– স্বাধীনতার ও চট্রোগ্রামের বিতর্কিত ঘোষণা
* সেলিম রেজা নূর—-স্বাধীনতার ঘোষণা মার্কিন দলিল ও সংবাদপত্রে
* হারুন হাবীব—- ইতিহাসের সত্য ও হাইকোর্টের রায়
* সেকেন্দার মতিউর রহমান—– স্বাধীনতার ঘোষণা একটি সমীক্ষা
* সাখাওয়াৎ আনসারী—- তথ্যপ্রমাণের আলোকে স্বাধীনতার ঘোষণা
* শাহরিয়ার কবির—- স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অস্বীকার করা মানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা
* আবুল খায়ের —- আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র
* আবুল মাল আবদুল মুহিত— স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতি একাত্তরে আমেরিকায়
* বাহজাদ আহমেদ—-গোপন বেতারে শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণা
* সরদার সিরাজুল ইসলাম—– তবুও জানতে হবে সঠিক ইতিহাস
* ডা. এস এ মালেক——–স্বাধীনতার তৃতীয় ঘোষক
* ড. হারুন-অর-রশীদ—ব্রিটিশ পত্র-পত্রিকার পাতায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা
* মোহাম্মদ শাহজান সিরাজী—— বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা
* অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ চৌধুরী—— ২৬মার্চ ১ম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা
* হাসান ফেরদৌস—– ইতিহাসের বিকৃতি ও বাংলাদেশ
* কে এম সোবহান—– ঘোষণা পাঠ ২৬ মার্চ না ২৭ মার্চ
* তপন কুমার দে—– স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে চট্রগ্রামের কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য
* তপন কুমার দে—–স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে জেনারেল জিয়া শাজাহান সিরাজ,মীর শওকত ও কর্ণেল অলির বক্তব্য
* তপন কুমার দে—-স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে কালুঘাট বেতার কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বক্তব্য

তপন কুমার দে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার হিংগানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম পঞ্চানন্দ দে এবং মাতার নাম ঊষা রাণী দে। তিনি স্কুল জীবনেই ছাত্ররাজনীতির সাথে যুক্ত হন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় দুই বছর বন্দি থাকার পর ১৯৭৮ সালের নভেম্বর মাসে মুক্তি লাভ করেন। কারাজীবনের পর তিনি পুনরায় লেখাপড়া শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পর লেখালেখিতে মনােযােগ দেন। তার প্রকাশিত উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ : ১. মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইল, ২. মুক্তিযুদ্ধে নারীসমাজ, ৩. মুক্তিযুদ্ধে ৪নং সেক্টর ও মে.জে.সি.

আর দত্ত বীর উত্তম, ৪. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইন্ধিরা গান্ধীর ভূমিকা, ৫. রক্তাক্ত পনেরই আগস্ট ১৯৭৫, ৬. আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে পাকিস্তানিদের গণহত্যা ও নারী ধর্ষণ, ৭.

একাত্তরের বীর বাঙালি, ৮. গণহত্যা একাত্তর, ৯. নারীমুক্তি আন্দোলনের খণ্ডচিত্র, ১০. একাত্তরের গণহত্যা রমনা কালী মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, ১১.

বাঙালি বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু, ১২. জাতির পিতা ও স্বাধীনতার ঘােষণা, ১৩. ব্রিটিশ বিরােধী আন্দোলনে মাস্টার দা সূর্যসেন ও বীরকন্যা প্রীতিলতা, ১৪. ব্রিটিশ বিরােধী বিপ্লবীদের জীবনকথা, ১৫.

বাংলাদেশের মঠমন্দির, ১৬. স্মরণীয় বরণীয় যারা, ১৭. বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের কথা, ১৮. গণমানুষের মুক্তির আন্দোলন, ১৯.

আদিবাসী মুক্তিযােদ্ধা, ২০. বাংলাদেশের কয়েকটি জনগােষ্ঠী, ২১. ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধ, ২২. স্বাধীনতার ঘােষণা ও বঙ্গবন্ধু, ২৩.

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দিন আহমদ, ২৪. ১৯৭১-এর রণাঙ্গনের বীরমুক্তিযােদ্ধা, ২৫. জিন্নার ষড়যন্ত্রের পাকিস্তান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ২৬. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে আক্রান্ত ভগবান বুদ্ধ, ২৭.

মুক্তিযুদ্ধে উত্তরবঙ্গের আদিবাসী ।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ