যে জাতির বিচারে মতিউর রহমান বীরশ্রেষ্ঠ সেই জাতির ১৩ কোটি মানুষের সামনে তার যথার্থতা তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। তিনি কোন বিশেষ সময় বা হঠাৎ আবেগের তাড়নায় কোন ঘটনা ঘটিয়ে নিজ জীবন বিসর্জন দেয়নি, বরং বহু বছরে লালিত ঘৃনা বা আক্রোশের তাড়নায় তিনি ঐ পদক্ষেপটি নিয়েছিলেন।
১৯৭১-এর তথাকথিত পূর্ব পাকিস্তানে সমস্ত বাঙালি যখন প্রায় এক রকম গৃহবন্দী অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছিল তখন সুদূর পশ্চিম পাকিস্তানে বাঙালিরা এরকম নজরবন্দী অবস্থায় মৃত্যুকূপে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছিল। সেই অবস্থায় মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে মতিউর রহমান হয়ে রইলেন চির ভাষ্কর। কাঁপিয়ে দিয়ে গেলেন পাকিস্তানের ভিত। জানিয়ে দিয়ে গেলেন বিশ্ববাসীকে বাঙালি সত্যের জন্য যেমন লড়তে জানে তেমনি হাসিমুখে মরতেও পারে। পাকিস্তানীরা মতিকে আখ্যায়িত করল দেশদ্রোহী হিসেবে। স্বাধীনতার পর সমগ্র দেশবাসী স্বীকৃতি দিলাে এই আত্মত্যাগকে, দিল তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব। এই লেখা পড়ে দেশবাসী জানবে, নতুন প্রজন্মরা। জানবে ৩৫ বছর আগের এই আত্মত্যাগের কথা।