শৈশব থেকেই ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল অন্যরকম ছিলেন। চাকচিক্যের চেয়ে সাদামাটা জিনিস পছন্দ করতেন। বাগান ভালবাসতেন। অবসরে হেঁটে বেড়াতেন বাগানে। বাড়িতে ঘোড়া কুকুর ও বেড়াল পুষতেন। ছিল পোষাপাখিও। এসব পশু পাখির নিয়মিত যত্ন নিতেন তিনি।পশু বা পাখি আঘাত পেয়ে জখম হলে শুশ্রূষা করে সারিয়ে তুলতেন। ছোট ছোট শিশুর প্রতি অনেক মমতা ছিল তাঁর। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি একটি কোলের শিশুর যেভাবে যত্ন নিতেন তা দেখে শিশুটির মা পর্যন্ত অবাক হয়ে যেতেন। নাইটিঙ্গেল যেদিন আটত্রিশ জন সেবিকা নিয়ে লন্ডন থেকে ক্রিমিয়ার পথে রওনা| হন, সেদিন থেকে এ পেশায় সেবিকাদের বড় বড় কদমে পথ চলা শুরু হয়। সে যুগে সেবিকার কাজকে পেশা হিসেবে গণ্য করা হত না। তখন নার্স বলে যাদের পরিচিতি ছিল, সবাই অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখত তাদের।
নাইটিঙ্গেলের কারণে আমূল বদলে গেছে সেবিকাদের ভাবমূর্তি। এজন্য তাকে কম মূল্য দিতে হয় নি! প্রথম দিকে দুর্ভোগ আর বাধা ছিল তাঁর রোজকার সঙ্গী। কিন্তু লক্ষ্যে অটল থেকে তিনি সে কষ্টকে জয় করেছেন।