“কাকে বলে নাট্যকলা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
কাব্য, সাহিত্য, চিত্র, নৃত্য ইত্যাদি যেভাবে স্বীকৃত কলা, নাট্যকলাকেও কি সেই একইভাবে চিহ্নিত করা যায়? একজন কবি কিংবা কথাকার, চিত্রকর অথবা নৃত্যশিল্পী যা-কিছু সৃষ্টি করেন, তা অন্যনির্ভর নয়। তাদের সৃষ্টি মুখ্যত একক প্রয়াস। এবং স্রষ্টা সরাসরি তা পৌঁছে দিতে পারেন পাঠক কি দর্শকের কাছে। কিন্তু নাট্যকলার ক্ষেত্রে সে-সুযােগ নেই। এখানে নাটক চাই, চাই অভিনেতা-অভিনেত্রী, চাই মঞ্চসজ্জা, দরকার হতে পারে সংগীতেরও। যেখানে এতকিছুর সম্মিলনে তৈরি হয় নাট্যকলা, সেখানে এ-প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, এই কলার প্রকৃত স্রষ্টা তাহলে কে? সৃষ্টিটাই বা ঠিক কোনখানে? এমনই কিছু জরুরি এবং অনিবার্য প্রশ্ন তুলে একটু-একটু করে নাট্যকলার একেবারে ভিতরমহলে। আমাদের পৌছে দিয়েছেন একালের অন্যতম সম্ভবত প্রবলতম—নাট্য- ব্যক্তিত্ব শম্ভ মিত্র। নাট্যাভিনয়ের ক্ষেত্রে নাটক কতটা নাট্যকলার অংশ, আবার অভিনয়ও। কীভাবে নাট্যকলার অবিচ্ছেদ্য অংশ তা যেমন দেখিয়েছেন তিনি, একইসঙ্গে দেখিয়েছেন নাটকে যতটুকু লেখা থাকে তাকে কীভাবে ছাপিয়ে যায় নাট্যকলা। দেখিয়েছেন, কীভাবে নাট্যকলা হয়ে ওঠে অনুভবের সেই অনন্য সঞ্চার, যা অন্য কোনওভাবেই ব্যক্ত করতে।