বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ
টিভি সাংবাদিক সায়ন্তন বরাবরই বেশ বেপরােয়া। টিভির পর্দায় কোনও অসাধারণ অনুষ্ঠান দেখানাে তার স্বপ্ন। সহকর্মী চন্দনার সঙ্গে একসময় তার ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু প্রেমপর্বের সেই সময়ে চন্দনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে সায়ন্তন তার সঙ্গে দেহমিলনে লিপ্ত হয়। গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার ভয়ে সায়ন্তনকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় চন্দনা। কিন্তু সায়ন্তনকে সে ক্ষমা করতে পারে না। অন্য চ্যানেলে চাকরি নিয়ে চন্দনা দূরে সরে যায়। এই সময় সায়ন্তন নিজেরই ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে। আরও বেপরােয়া হয়ে যায় তার জীবন। হঠাৎ সায়ন্তনের মাথায় আসে, উগ্রপন্থীদের নিয়ে একটা প্রােগ্রাম করতে হবে। সেই অনুষ্ঠানটিকে বাস্তবোচিত করার জন্য সে যােগাযােগ করে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে। ঘটনাচক্রে এমন একটা দলের সন্ধান সে পায় যারা কলকাতা শহরটাকে উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষেছে। সায়ন্তন ঠিক করে, বিস্ফোরণের সময় নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে সে নিজে ছবি তুলবে সেই ধ্বংসলীলার। তারপর সেই ছবি টিভি সাংবাদিকতায় এক অবিস্মরণীয় নজির হয়ে থাকবে। ঠিক এই সময়েই চন্দনা আবার তার জীবনে। নতুনভাবে ফিরে আসে। কিন্তু উগ্রপন্থীরা যেদিন ভবানীভবন উড়িয়ে দেবে, সেদিনই চন্দনা ওখানে যায় রিপাের্টিং-এর কাজে। সায়ন্তন কি এবার পারবে চন্দনাকে বাঁচাতে? রূপক সাহার ভিন্নধর্মী উপন্যাস ‘ঘাতক’-এ তারই উত্তর।