“তপস্যার রঙ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
দিগন্ত স্বপ্নেও ভাবেনি ওর বড়দা জয়ন্ত এমনভাবে সংসার থেকে পালিয়ে যাবে । অথচ জয়ন্তর জীবনে মল্লারদি ছিল, ভালবাসা ছিল। বড় ছেলের এইভাবে সন্ন্যাসী হয়ে যাওয়ার দুর্ঘটনা অতীশনারায়ণ কিংবা সুচেতা—কেউই মেনে নিতে পারেননি। ফলে সংসারের সুর তাল-ছন্দ অকস্মাৎ কেটে গেল। এই রকম একটা অভাবনীয় পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার চেষ্টায় বেকার দিগন্ত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। সেজদার বিশ্বাসঘাতকতা এবং আরও নানা পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতা দিগন্তকে টলাতে পারেনি। ওর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন আশ্চর্য মানুষ ডেভিডমামা, ওর বন্ধুরা এবং মল্লারদি স্বয়ং। বড়দাকে সন্ন্যাসজীবন থেকে ফিরিয়ে আনতে দিগন্ত কনখলে ছুটে গেছিল। মায়ের মৃত্যুসংবাদও জয়ন্তকে টলাতে পারেনি। স্বপ্নভঙ্গ কিংবা অপ্রাপ্তির বেদনায় যে ঘর ছাড়েনি সে আর ঘরে ফিরে এল না ঠিকই, কিন্তু তাই বলে কি এই সুখ-দুঃখ মেশানাে সংসার থেমে যায় ? না থামে না। সংসারের সেই সবুজ তপস্যার কথা এখানে।