“তৃতীয় ভুবন” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
‘এ এক আত্মকথন। ছেড়া-ছেড়া ছােট-বড় নস্মৃতিতে ভর করে মৃণাল সেন ফিরে ‘দেখছেন যেন নিজের জীবনটাকে। প্রচলিত আত্মজীবনীতে তার আস্থা নেই, আবার ‘চোখ বুজে স্মৃতিকেও বিশ্বাস করেন না তিনি। ‘আবছা আলাের মতাে ফেলে আসা দিনগুলাে। যেমন মনে পড়ে, সেভাবেই লিখেছেন, সময়-এর পিঠে সওয়ার হয়ে। দীর্ঘ জীবনের সূত্রে তার ছবির জগতের হাত ধরে সেই। ‘তিরিশ-চল্লিশের দশক থেকে বাকি গত শতক-ই প্রায় ঠাই নিয়েছে এ-বইয়ে। গুজরাতের বালিয়াড়ি বা গ্রামবাংলার দুই অনুভূতিময় নারীর জীবন-সৌন্দর্য নিয়ে তৈরি ভুবন সােম বা তামার ভুবন যদি মৃণাল সেনের ভাবনার দু’টি ভুবন হয়। ‘এ-আত্মকথন তা হলে তার তৃতীয় ভুবন।