নয়টি প্রশ্নের উত্তর

৳ 40.00

“দ্য রুলস অব লাইফ” বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ
ভূমিকা সিরিয়ার যুগশ্রেষ্ঠ হাদীছ বিশারদ পণ্ডিত এবং ছহীহ হাদীছ সমূহকে বাছাই করে একত্রিতভাবে জগত সমক্ষে তুলে ধরার অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী মুহাদ্দিছ নাছেরুদ্দীন আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯) শিষ্যদের ৯টি প্রশ্নের বাণীবদ্ধ জওয়াব দিয়েছিলেন। যা তাঁর সংযুক্তি ও অনুমতিক্রমে প্রথম পুস্তি কাকারে প্রকাশ করে জর্ডানের রাজধানী আম্মানের ‘আল-মাকতাবাতুল ইসলামিয়াহ’ নামক প্রতিষ্ঠান ১৪২১ হিজরী সনে (২০০১খৃঃ)। আমরা তাদের শুকরিয়া আদায় করছি।
প্রশ্ন এবং উত্তরগুলি অত্যন্ত শিক্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় মাননীয় পরিচালক কারাগারে থাকতেই যে প্রায় পাঁচ হাযার পৃষ্ঠার বিশাল পাণ্ডুলিপি রচনা করেন, তন্মধ্যে ইনসানে কামেল’, ২৫ জন নবীর কাহিনী, পবিত্র কুরআনের কয়েক পারা-র তাফসীর, মিশকাতের প্রথম কয়েকটি অধ্যায়ের অনুবাদ ও ব্যাখ্যার সাথে সাথে অত্র বইটির অনুবাদও সমাপ্ত করেন। যা পরে মাসিক আত-তাহরীক অক্টোবর-ডিসে’০৯ পরপর তিন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এক্ষণে আমরা তা বই আকারে প্রকাশ করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। যাতে সর্বস্তরের বাংলাভাষী পাঠক উপকৃত হন এবং মরহুম শায়েখ পরজগতে তার ইলমী ছাদাক্বার নেকী লাভে ধন্য হন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান দানে সম্মানিত করুন এবং মযলুম অনুবাদককে ইহকালে ও পরকালে উত্তম জাযা দান করুন। আমীন!

আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) আধুনিক যুগের একজন স্বনামধন্য আলেম। তাঁর জন্ম ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ আলবেনিয়ায়। ১৯১৪ সালে আলবেনিয়ার রাজধানী স্কোডারে (বর্তমান নাম তিরানা) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন আলবেনিয়ার একজন বিজ্ঞ আলেম। পারিবারিক অসচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও দ্বীনদারী ও জ্ঞানার্জনে তাঁরা ছিলেন সুখ্যাতিসম্পন্ন ও সমৃদ্ধ। আলবেনিয়ায় নারীদের পর্দা নিষিদ্ধ করার পর নাসিরুদ্দীন আলবানীর পরিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে চলে আসেন। দামেস্কে ‘স্কুল অব এইড চ্যারিটি’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাপর্ব শেষ হয়। এরপর প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে তাঁর পিতা তাকে স্বতন্ত্র পাঠ্যসূচী তৈরি করে দেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই তিনি আল-কুরানুল কারীম, নাহূ, সরফ, তাজবীদ এবং হানাফী ফিকাহ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে থাকেন ও একইসাথে কোরআনের হিফযও সমাপ্ত করেন। ইসলামী শাস্ত্রে সুপন্ডিত এই আলেম ঘড়ি মেরামতের কাজকে পেশা হিসেবে নেন। এর অন্যতম কারণ ছিল জ্ঞানার্জন ও গবেষণার জন্য কিছু সময় বের করে নেওয়া। নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো সিরিয়ায় তাওহীদ ও সুন্নাহর দিকে দাওয়াত এবং এর পরবর্তী ঘটনাদি। এই কারণে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করে এবং তাকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাঁর এই মতবাদের সাথে দামেস্কের প্রসিদ্ধ আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করায় তিনি এগিয়ে যেতে উৎসাহ পান। শাইখ আলবানী দামেস্ক, মিশর ও সিরিয়ার বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার প্রস্তাব পান। তবে গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি যোগ দেননি। তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবেও মনোনীত হন। আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর বই সমগ্র, গবেষণাপত্র ও বক্তব্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়েছে এবং ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমদের কাছে সমাদর লাভ করেছে। তিনি কুয়েত, আরব আমিরাত ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে বক্তা হিসেবে ভ্রমণ করেছেন। আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর বই সমূহ হলো ‘আত-তারঘিব ওয়া আত-তারহিব (চার খণ্ড)’, ‘আত-তাসফিয়াহ ওয়া আত-তারবিয়াহ’,’সহীহ ওয়া যাই’ফ সুনান আত-তিরমিযী (চার খণ্ড)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা এক শতাধিক। হাদীস ও ফিকহ শাস্ত্রে পারদর্শী এই আলেম ১৯৯৯ সালে বাদশাহ ফয়সাল পুরষ্কারে ভূষিত হন। একই বছর জর্ডানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ