দুর্বোধ্য হিসেবে নীৎসের খ্যাতি মোটেও কম নয়। তার এক ডাক্তার বন্ধু একবার বললেন, ‘তোমার ‘যরাথ্রুস্ট’ বইটার প্রথম আট লাইন পড়লাম, কিন্তু একটা লাইনও বুঝলাম না’, নীৎসে তাকে আশ্বস্ত করে উত্তর দিলেন, ‘সেটাই ঠিক হয়েছে।
এই গল্প শোনার পরেও বলতে হয়, বিশেষভাবে নির্বাচন করে অনুবাদক ফজলুল আলম এই বইটি পাঠকদের কাছে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা একটা অসাধারণ প্রচেষ্টা। নীৎসের প্রধান তত্ত¡গুলির প্রায় সবই এখানে উল্লেখিত এবং বর্ণিত হয়েছে।
নীৎসের শেষ জীবনের রচনাগুলো নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সেগুলোই প্রাধান্য পেয়েছে। এই রচনাগুলি তার মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে প্রকাশিত হয়। যদিও এর অনেক আগেই তিনি সমকালীন দার্শনিকদের মধ্যে অন্যতম স্থান অধিকার করে নিয়েছিলেন।
মেটাফিজিক্সে বা অধিবিদ্যায় তার অনাসক্তি দর্শনের ইতিহাসে একটা বিরাট ঘটনা। তার একটি প্রধান বক্তব্য এরকম বাস্তব ঘটনা (ফ্যাক্ট) বলে কিছু নেই, যা আছে তা শুধুমাত্র ব্যাখ্যা’। এটাই পরবর্তী পর্যায়ে ডিকনস্ট্রাকশন বা বিনির্মাণ তত্তে¡ও সূত্রপাত করে।