সূচিপত্র
জীবনের বাঁকে ভালোবাসা নামক পবিত্র অনুভূতি বিভিন্ন রূপে দেখা দেয়। ভালোবাসার স্বরূপ নির্ণয় করা বোধ হয় বহুপাক্ষিক হওয়া উচিৎ। বন্ধু হিসেবে পায়ে পায়ে চলা, হাত ধরে অনুভূতির কথা বলা ভালোবাসার অর্বাচীন রূপ নয়। ভালোবাসার মানুষটি বন্ধু হিসেবে নয়; একজন প্রিয়জন হিসেবে পেতেই ইচ্ছে করে।
‘বন্ধুত্বের ভালোবাসা’ গল্পটিতে মূল চরিত্র তাসমিয়া ও রাশেদ এর জীবনের ভালোবাসা নির্ণয়ের জটিল সমীকরণ ‘বন্ধুত্ব ও প্রিয়জন’- এর মধ্যে ঘুরপাক খায়। তাসমিয়ার জীবনে ভালোবাসা ধরা দিয়ে চলে যায়; সে হয়তো রাশেদকে আপন করে ভাবতে চায়, কিন্তু সেটা ভালোবাসার প্রিয়জন হিসেবে নয়। অন্যদিকে রাশেদ তার জীবনে অনেক প্রেমিকাকে অনাকাঙ্খিত বলে দূরে সরিয়ে দিয়ে তাসমিয়াকে কল্পনার রানী হিসেবে পেতে চায়।
বাস্তবতার নিরিখে হয়তো প্রিয়জনের ভালোবাসা বন্ধুত্বের সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। কিন্তু সম্পর্ককে জিইয়ে রাখতে হলে রাশেদ ও তাসমিয়া দু’জনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় আসলে তারা বন্ধু না প্রিয়জন হবে। মানবজীবনের কোনো না কোনোবয়সে আমরা সকলেই এ ধরনের দ্বৈত অনুভূতির সাথে আপোষ করে চরেছি। বন্ধুত্বের মধ্যেও মধ্যেও ভালোবাসা থাকতে পারে কিন্তু সেটা প্রিয়জনের ভালোবাসা থেকে আরাদা করে রাখাটাই উত্তম।