ফ্ল্যাপে লিখা কথা
দীর্ঘ প্রায় ৪৩ বছর মস্তিষ্কের স্মৃতিকোষে পাক সেনাবাহিনির দ্বারা সংঘটিত একটি ভয়াবহ ঘটনার ইতিহাসের বিবরণ গল্পাকারে লিখতে বসেছি। ১৯৭১ সালের আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসের কোন এক দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী কুমিল্লা জেলার তৎকালীন লাকসাম থানার মুসলিম লীগ, জামায়াত নেতাদের সহায়তায় তৎকালীন কুমিল্লা ১০ আসন লাকসামের তৎকালীন সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব জালাল আহমেদের পাঁচপুকুরিয়াস্থ গ্রামের বাড়ীতে হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রচিত হয়েছে ‘একাত্তরের যোদ্ধা : অপারেশন পিএনএস লাকসাম’ এর বিভিন্ন চরিত্র।
উপন্যাসের অনেক চরিত্র অনেক ঘটনা বাস্তব অনেক ঘটনার সাথে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে বলে পাঠকের কাছে পুরো ঘটনাগুলোই বাস্তব বলে ভাবতে সহায়তা করতে পারে। আর যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে লেখকের স্বার্থকতা এই খানেই।
উপন্যাসটিতে পাঠযোগ্য করার জন্য নাটকীয়তা সৃষ্টি করা হয়েছে। করা হয়েছে প্রেম ভালবাসা, ত্যাগ, দেশের জন্য জীবন বিসর্জন। উপন্যাসটিতে আছে হাসি কান্না আর আনন্দ। আবার চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে দেশবিরোধী রাজাকার আল বদরদের। আশা করি সব মিলিয়ে সব শ্রেণীর পাঠকের কাছে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির কাছে উপন্যাসটি গ্রহণযোগ্য হবে।