“বঙ্গভূমি ও বাঙালির ইতিহাস” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র, ভারতের অন্যতম অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং এ-দেশের অন্যত্র বসবাসকারী বঙ্গভাষী। ‘জনগণের যে ইতিহাস নথীভুক্ত সময় থেকে ১৯৪৭ সাল এবং দেশভাগের পরবর্তী সময়কাল থেকে একেবারে সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত বিস্তৃত তারই প্রামাণিক দলিল এই গ্রন্থ। বঙ্গভূমি ও বাঙালি জাতির উদ্ভব এবং বাংলাভাষার উৎপত্তির মূলানুসন্ধান করে লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে এই ভাষার বন্ধন। বিভিন্ন জাতিকে একসূত্রে বেঁধে রাখার। ক্ষেত্রে এক আশ্চর্য ভূমিকা পালন করে এসেছে। বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের গােড়ার যুগের উপর যেমন, তেমনি, দুই বাংলার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা যখন দুটি পৃথক ধারায় প্রবাহিত হতে শুরু করল তারও উপর । লেখক অনুসন্ধানী আলােকপাত করেছেন। বাংলার সাংস্কৃতিক, ভাষাতাত্ত্বিক, সাহিত্যিক ও সামাজিক চিন্তাচেতনা কীভাবে সমসাময়িক কালের রাজনৈতিক বিকাশধারায় অনপনেয় প্রভাব মুদ্রিত করেছিল, তারই এক প্রামাণ্য দলিল এই শ্রমসাধ্য নিরলস গবেষণালব্ধ অবশ্যপাঠ।