কেরালাকে বলা হয় ‘দেবতাদের আপন দেশ’। একদিকে দিগন্ত বিস্তৃত আরব সাগর, অন্যদিকে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা, মধ্যিখানেপাহাড়-নদী, শ্যামল অরণ্যখচিত অপরূপ কেরালা। এমনিতে সমুদ্র-পাহাড়-নদী-অরণ্য নিয়ে কেরালার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের তাে কোনও তুলনা হয় না, তার ওপর রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও মনােমুগ্ধকর একাধিক সমুদ্র-সৈকত, রয়েছে বনরাজি ও অভয়ারণ্যগুলি, মুন্নারের মতাে শৈলশহর, ব্যাক-ওয়াটারগুলিতে নৌকা-আবাসে রাত কাটাবার বিরল অভিজ্ঞতা। এছাড়া, প্রাচীন ইতিহাসের স্পর্শধন্য জাদুঘরগুলি এবং আরব-পর্তুগীজ-ডাচ-ইংরেজদের প্রথম পদার্পণ ও কর্মকাণ্ডের নিদর্শনসমন্বিত প্রাচীনদুর্গ ও অট্টালিকাগুলি আজও এইসব দিনগুলির সৌরভ বহন করে। অনুসন্ধিৎসু পর্যটকদের কাছে এগুলির আকর্ষণ অসামান্য। আর, কেরালার ঐতিহ্যমণ্ডিত মার্শাল আর্ট ও প্রাকৃতিক চিকিৎসার তাে বিশ্বজুড়ে বিপুল খ্যাতি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ট্রাভেলার’ নামে একটি সংস্থা সারা পৃথিবীর পর্যটনযােগ্য পঞ্চাশটি অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান এবং একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর একশােটি ছুটি কাটানাের যােগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলির তালিকায় কেরালাকে দ্বিধাহীনভাবে ঠাই দিয়েছে। এই সবকিছুর টানে বেরিয়ে লেখক যে বিপুল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তা উৎসাহী পর্যটকদের মধ্যে বিলিয়ে দেবার উদ্দেশ্যেই ‘দেবভূমি কেরালা’র আত্মপ্রকাশ।