“শয়তানের বেহেশ্ত ১” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
‘ফেরদাউসে ইবলীস’ বইটিরই বাংলা রূপান্তর ‘শয়তানের বেহেশত’। এনায়েতুল্লাহ আলতামাস এই ঐতিহাসিক উপন্যাসটি প্রথমে লিখেন পাকিস্তানের এক সাপ্তাহিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে। এটি লেখার সময় প্রতিক্রিয়াশীল বিভিন্ন মহল থেকে তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়া হয়। দুই খণ্ডে পূর্ণাঙ্গরূপে তার এই বই বের হলে ইসলাম বিধ্বংসী বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ফেরকাবাজরা তার এই বই ভারত ও পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানায়। কিন্তু সত্য সুন্দরের জয় অনিবার্য। এই প্রতিবাদের কারণে পাঠক মহলে এই ‘ফেরদাউসে ইবলীস শুধু সাড়াই ফেলেনি। বিক্রিও হয় প্রচুর। আর কুসংস্কার ও অসত্যের অন্ধ পূজারী ফেরকাবাজদের বিরুদ্ধে জনমনে সঞ্চার হয়। গণক্ষোভ আর তীব্র ঘৃণা। উপন্যাসটি লেখার সময় আলতামাস তিনজন ইউরােপীয় ঐতিহাসিকসহ অসংখ্য বিখ্যাত ঐতিহাসিকদের ইতিহাস গ্রন্থের সাহায্য নিয়েছেন। এতে উপন্যাসটির তথ্যগত ঋদ্ধতা বেড়েছে প্রশ্নাতীত।