দিলদরিয়ার মাঝে দ্যাখাে আছে মজার কারখানা। সেই কারখানার কলকব্জাটিকেই বিধৃত করা হয়েছে এই গ্রন্থটিতে। কখনও মানুষের জীবন ও তার পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলির সংস্পর্শজনিত আনন্দ ও যন্ত্রণা, কখনও বা মানুষের মাথার ভেতরকার। সমান্তরাল পৃথিবীর গুঢ় বিবরণ, এসকল নিয়েই বুনে উঠেছে এই গ্রন্থের গল্পগুলি। এর কিছু রচনায় আছে নিরপেক্ষ সত্য পর্যবেক্ষণমাত্র, আবার কোনও সময় লেখকের আবেগ ও মতামতও ব্যবহৃত হয়েছে, যা নিতান্ত গল্পটির প্রয়ােজনে, অথবা বলা ভালাে, গন্ধের দাবিতেই। সব মিলিয়ে, এই গল্পের বই-এর প্রতিটি পাতায় আছে মানুষ ও জীবনকে খুঁড়ে দেখার চেষ্টা। এ কাজ কতটা সফল হয়েছে তা পাঠকের দরবারে বিচার্য। প্রথমে যে বাউলগানটি ব্যবহার করা হয়েছে, শেষ করা যেতে পারে তাকে দিয়েই—‘ওরে ডুবলে সেথায় রতন পাবি, ভাসলে পরে পাবি না’…