“হিন্দুতীর্থ গয়া” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বিশ্বাসী হিন্দু মাত্রেই মনে করে পরলােক গত পিতামাতা, পিতৃমাতৃকুলের আত্মা উদ্ধারের জন্য গয়াধাম যাওয়া উচিত। গয়ায় মায়ের কাজ করতে গিয়ে গ্রন্থকার গয়ালি পাণ্ডাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। ফতীর্থ, প্রেতশিলা, বিষ্ণুপদ, অক্ষয়বটে পিণ্ড অর্পণ করেছেন। জেনেছেন পিণ্ডদানের বেদি, পদ্ধতি, রীতি, নিয়মকানুন, মন্ত্র, তীর্থ পুরােহিতদের জীবনযাপন। গয়ার প্রাচীন ইতিহাস, মন্দিরগুলির ইতিবৃত্ত, গয়া সম্পর্কে নানা অলৌকিক কাহিনি, পুরাণের উপাখ্যান, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যকলাপ স্বভাবতই তার লেখায় এসেছে। গয়া সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক নিরসনে সংগ্রহ করেছেন নিরাপদ, নিরুপদ্রব দূরভাষ, যােগাযােগের ঠিকানা। গয়াতীর্থের সঙ্গে যেসব মহাপুরুষের নাম জড়িয়ে আছে তাদের মহৎ জীবনকথা এবং মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য থেকে গয়াপ্রসঙ্গ উদ্ধার এই বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ। গয়া, বুদ্ধগয়ার অলিগলির পরিচয় নিয়ে এই গ্রন্থ ‘হিন্দুতীর্থ গয়া। সেকাল ও একালের গয়া সম্পর্কে এমন বই বাংলা ভাষায় সম্ভবত এই প্রথম।