দৌলত উজির বাহরাম খাঁ বিরচিত ‘লায়লী-মজনু’ রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যানটি মধ্যযুগে রচিত। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েরর সম্মান পর্যায়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের এই প্রণয়োপাখ্যানটি পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু প্রাপ্ত বিভিন্ন বইয়ে পর্যাপ্ত অর্থ সন্নিবেশিত না থাকায় শিক্ষার্থীদের মূল কাব্যটি পড়তে ভীষণ অসুবিধা হয়। সেদিক খেয়াল রেখে লেখক ও সাহিত্য-গবেষক এইচ. এম. মেহেদী হাসান দীর্ঘ দেড় বছর যাবত এই কাব্যটির প্রায় দেড় হাজার প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় শব্দের বর্তমান চলিত অর্থ বের করেছেন, সাথে সাথে কাব্যটিকে চলিত গদ্যে অত্যন্ত সহজভাবে রূপান্তর করেছেন। মূল কাব্যের মৌলিকতা ঠিক রেখে সহজবোধ্যভাবে চলিত ভাষায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে লেখক যে মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। লায়লী-মজনু : পদ্য ও গদ্য—বইটি শিক্ষার্থীদের যেমন পাঠে সহযোগিতা করবে, পাশাপাশি সাধারণ পাঠকও বইটি পড়ে তৃপ্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।