“নিরাকার” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
মেঘের ডাকের সাথে ফরহাদের অনেক দিনের মিতালী। কৈশােরে মেঘের ডাক শুনে ফরহাদ সবকিছু ভুলে যেতাে। কলেজে বা বাসায় যেখানেই থাকতাে, মেঘ ডাকলে ফরহাদের মনে বৃষ্টিস্নান ছাড়া আর কিছুই থাকতাে না। উদয়পুর বড় মসজিদের পাশেই ওদের বাসা ছিলাে … খুব কাছেই কালীগঙ্গা নদী। মেঘ ডাকলে কালীগঙ্গার তীরে মােলাহাটের আকাশের রঙ আর বাতাসের গন্ধ বদলে যেতাে। ফরহাদ বাড়ি থেকে বের হয়ে সাইকেল চালিয়ে চলে যেতাে হাইস্কুল রােডে। উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স পার হয়ে চলে যেতাে চুনখােলা রােডের দিকে। নদীর কাছাকাছি আসতেই বৃষ্টির ঘ্রাণ ভেসে আসতাে বাতাসে। রাস্তার দুইপাশের সবুজে নতুন প্রাণের স্পর্শ ফরহাদকে আর অন্য কোনােকিছুই ভাবতে দিতাে না। থানা রােড আসতেই গাছের সবুজের সাথে ক্ষেতের শ্যামলিমা মিশতাে। কালীগঙ্গার তীর ঘেষা ক্ষেতগুলােতে কাঁচা ফসলে বাতাসের নাচ শুরু হয়ে যেতাে তখন। ফরহাদের মনের ভেতর তখন কবিতা লেখা হচ্ছে, ছবি আঁকা হচ্ছে, গল্পের মতাে করে চারপাশের কথা লেখা হচ্ছে। ওর মনে তখন আর কিছুই থাকতাে না। ঘর, কলেজ, বাবা, মা … কিছুই না।