“ভিনদেশী রূপকথা” বইয়ের ভূমিকা:
নিউইয়র্কে দারুণ শীতে ঘরে বসে ভাবছিলাম – ছােট বেলার কথা। আমার নয়, আমার ছেলের ও আমার। নাতনীর ছােটবেলার কথা। আমার ছেলের বয়স যখন তিন বছর, সে ছড়া ও গল্প শুনতে খুব ভালােবাসতাে। খেলার চাইতে তার ছড়া বলতে, বসিয়ে বসিয়ে গল্প করতে খুবই পছন্দ করতাে। এভাবে ৩ থেকে ৪ বছর। বয়সে সে অনেক ছড়া আর গল্প শিখে ফেলেছিল। তার একটাই আবদার, তাকে গল্প শােনাতে হবে। অগণিত গল্প শােনানাে হয়েছে তাকে, তবুও তার আশা মিটতাে না, আরাে শুনতে চায়, কোন কোন গল্প বারবার শুনতে চাইত। আমার ৪-৫ বছরের নাতনী আমেরিকাতে থাকে, সেও আমার কাছে সারাদিন গল্প শুনতে চায়, আমি তাকে তিনটা গল্প শুনালে সে আমাকে একটি গল্প বলে, তিন গল্প মিশিয়ে একটি নতুন গল্প তৈরি করে এবং গল্পের সঙ্গে সঙ্গে আবার আমাকে ছবিও এঁকে দেখায়। নাতনীকে গল্প শােনাবার জন্য আমাকে নানা দেশের নানান ধরণের গল্প পড়তে হয়। এই ভাবনা থেকেই মনে হয়, দেশের বাচ্চাদের জন্য কিছু লিখার। সে জন্যই আমার এ প্রয়াস।