বঙ্গবন্ধু যে ভাষায় কথা বলতেন সেই ভাষায়ই বক্তৃতা দিতেন। ভাষার মাধুর্য, শব্দচয়ন ছিল মনোমুগ্ধকর, শ্রোতার অন্তরে প্রবেশ করে তা সৃষ্টি করত মর্মস্পর্শী অবয়ব। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তাঁর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ, বাঙালিদের গর্বের ভাষণ। এই ভাষণও তিনি উপস্থিত মত দিয়েছেন। কোনো লিখিত বক্তৃতা দেননি। এই ভাষণকে সম্মুখে রেখে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল এই ভাষণ। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকমটি আর আছে বলে মনে হয় না। চির অমর হোক এই ভাষণ। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আজ ৪৫ বছর পরেও এই ভাষণ শোনার সৌভাগ্য হচ্ছে। যখনই এই ভাষণ শুনি তখনই মনে হয় এক জীবন্ত আখ্যান, এখনই ভাষণ দেয়া হচ্ছে। মর্মস্পর্শী, উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী, ঐতিহাসিক, সুদূরপ্রসারী, নাটকীয় এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক এক অনবদ্য ভাষণ। যুগ যুগ ধরে এই ভাষণ জীবন্ত হয়ে থাকবে। এ বইতে বিংশ শতাব্দীর কয়েকটি বিখ্যাত ভাষণের আলোকে ৭ই মার্চ-এর ভাষণের প্রেক্ষিত ও বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।