“বলিভিয়া” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
চে একজন অকল্পনীয় যােদ্ধা। চে একজন অতুলনীয় নেতা। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসাধারণ পুরুষ। অচিন্তনীয় সাহস, প্রথমেই আঘাত হানার দুর্দমনীয় স্পৃহা। যদি গেরিলা হিসাবে তার কোনাে দুর্বল স্থান থাকে, সে হল তার প্রথমেই আঘাত হানার দুর্দমনীয় চরিত্র। ভয়ের প্রতি তার চরম ঘৃণা। শত্রুপক্ষ মনে করে চে-র মৃত্যু থেকে কতগুলাে সিদ্ধান্তে পেীছােনাে যায়। যুদ্ধবিদ্যায় চে ছিলেন অতিশয় দক্ষ। তিনি ‘গেরিলা রণনীতির একজন সু নীতি সপন্ন শিল্পী। অসংখ্যবার তিনি তার প্রমাণ দিয়েছেন। বিশেষ করে দু’বার তিনি অসাধারণ কাজ সম্পাদন করেছেন। একবার যখন তিনি সেনাদল নিয়ে সম্পূর্ণ অজানা জায়গায় মুক্ত সমতল ভূমিতে শত্রুপক্ষের হাজারাে সেনাকে আক্রমণ করেছেন। গেরিলা দলের অন্যতম যােদ্ধা ক্যামিলাে তার সঙ্গে ছিলেন। লা-ভিলা প্রদেশে বিদুৎ গতিতে এগিয়ে যাওয়া, বিশেষ করে সান্তাক্লারা শহরের দুঃসাহসিক আক্রমণ। বড়ােজোর তিনশ লােক সঙ্গে – সেখানে শত্রুপক্ষ ট্যাঙ্ক, গােলন্দাজ বাহিনী ও পদাতিক সেনাদল নিয়ে প্রস্তুত। পরিচালকের মৃত্যু হতে পারে বিশেষ করে তিনি নিজে যখন ভয়াবহ বিপ্লবী সংগ্রামের সুনীতিসম্পন্ন রূপকার। কিন্তু তার বিপ্লবী শিল্পসৃষ্টির মত্যু নেই, যার জন্য তিনি প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, যে শিল্পে তিনি তাঁর সমস্ত বুদ্ধিমত্তা প্রয়ােগ করেছেন।