হৃদয়ের সূক্ষ্ম অনুভূতির প্রকাশই সাহিত্য।সাহিত্য আমাদের সমাজ-সভ্যতা সংস্কৃতির মান উন্নত করে।মানুষের জীবনে উদ্দেশ্যহীন কোন বিষয়ের কথা কল্পনাই করা যায় না। সে উদ্দেশ্য ভালো হতে পারে, মন্দ হতে পারে, ছোট হতে পারে, বড়ও হতে পারে। তেমনি সাহিত্যেরও উদ্দেশ্য রয়েছে। ইসলামী সাহিত্যেরও উদ্দেশ্য রয়েছে। ইসলামী সাহিত্যিক একদিকে যেমন ইসলামের ওপর পূর্ণ বিশ্বাসী হবে তেমনি অন্যদিকে হবে পুরোপুরি সমাজ সচেতন। মানুষের ও মানুষের সমাজের সমস্যাগুলো সে হৃদয় দিয়ে অনুভব করবে। মানবতার কল্যাণাকাংখা তার হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রীতে অনুরণিত হবে। এজন্য যে বিষয়বস্তুগুলোকে সে তার কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে, নাটকে ছড়িয়ে দেবে সেগুলো হচ্ছে। ইসলামের তিনটি মৌলিক বিশ্বাস – তাওহীদ, রিসালাত ও অখেরাত। এ তিনটি বিষয়বস্তুকে কবিতায়-গল্পে-উপন্যাসে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে তা সমগ্র পরিবেশকে প্রভাবিত করে।কাজেই ইসলামী সাহিত্য আদর্শবাদী সাহিত্য। ইসলামী সাহিত্য অশ্লীলতার কোন সুযোগ নেই। এ সাহিত্য মানুষকে সফলাতার পথ দেখায়। যারা সাহিত্য পাঠক ও লেখক তাদের জন্য দিকনির্দেশনা মূলক বই এটি । সুচিপত্র
প্রসঙ্গ কথা
জীবন ও জগতের সম্পর্ক
স্রষ্টা কে?
জীবনের উদ্দেশ্য কী?
সাহিত্য কী?
সাহিত্যের উদ্দেশ্য
ইসলামী সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য
ইসলামী সাহিত্য কী?
ইসলামী সাহিত্যিকের দায়িত্ব
ইসলামী সাহিত্যে প্রেম প্রসঙ্গ
ইসলামী সাহিত্য ও অশ্লীলতা
ইসলামী সাহিত্য ও মুসলিম সাহিত্য
ইসলামী সাহিত্যের বিশ্বজনীনতা
ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন