“ইন্দ্রাণী” বইয়ের ভূমিকা:
প্রেম যুগে যুগে সৃষ্টির আদি অনন্তকাল থেকে বয়ে চলেছে। প্রেমের কোনও শেষ নেই, সীমা নেই। অনন্তকাল ধরে ঢেউ তুলতে থাকে মানুষের মনে। সীতা, সাবিত্রী, দময়ন্তী, মহাভারতের কুন্তি, অর্জুন এবং খুঁজলে আরও বহু চরিত্র পাওয়া যাবে যারা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। আমার ইন্দ্রাণী উপন্যাসের নায়ক-নায়িকাও তার ব্যতিক্রম নয়। ভালবাসা যে মানুষের জীবনের জন্মগত অধিকার, সেই অধিকার নিয়েই ইন্দ্রাণী ভালবেসেছিল ইন্দ্রনীলকে। কিন্তু সামাজিক বিধি-নিষেধের প্রাচীর ভেঙে ইন্দ্রনীল ইন্দ্রাণীকে বিয়ে করতে পারেনি।ইন্দ্রনীল সেই প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েও ইন্দ্রাণীকে কাছে পেতে চেয়েছিল। কিন্তু ইন্দ্রাণী তা পারেনি। পারিবারিক সমস্যার সমাধান করতে ইন্দ্রনীল বাধ্য হয়েছিল শিমুলকে বিয়ে করতে।ভালও বেসেছিল। সমাজের দেবদাস চরিত্রের মতােই ইন্দ্রনীল তার ফেলে আসা অতীত ইন্দ্রাণীকে ভুলে নতুন জীবন শুরু করেছিল। এই উপন্যাসের নায়িকা ইন্দ্রাণীতা পারেনি। পরবর্তীকালে ইন্দ্রনীলের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে, সন্তানহারা শিমুলের কোল আলােকিত করার জন্য। চিরদিনের জন্য নিজেকে শেষ করে ইন্দ্রনীলের কাছে রেখে গিয়েছিল তার ভালবাসার প্রকৃত উপহার। পাঠক-পাঠিকাদের যদি আমার লেখা পড়ে এতটুকু ভাল লাগে তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।
— গীতা কুমার