“প্রতিবাদের নান্দনিকতা: বাংলাদেশের প্রথাবিরোধী চলচ্চিত্র” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
বক্তব্যের দিক দিয়ে সমাজ এবং রাজনীতি সচেতন এবং নির্মাণশৈলীর দিক থেকে নান্দনিকভাবে অভিনব এবং আকর্ষণীয় চলচ্চিত্রই প্রথাবিরােধী ছবি। কারণ এই ধরনের ছবি বাণিজ্যিক লাভ নিশ্চিত করার জন্য নির্মিত গতানুগতিক ফর্মুলা-নির্ভর এবং চাকচিক্য আর জৌলুস প্রাধান্য দেয়া চলচ্চিত্রের মূলনীতি সচেতনভাবে প্রত্যাখ্যান করে। বাংলাদেশে গত ৪৫ বছরে বক্তব্য এবং নির্মাণশৈলীর দিক থেকে প্রথাবিরােধী চলচ্চিত্র খুব বেশি তৈরি হয়নি। কিন্তু এই ধরনের চলচ্চিত্র সম্পর্কে দর্শকের পর্যাপ্ত ধারণা থাকা এবং এই ধরনের ছবি নিয়মিত তৈরি হওয়া সমাজের স্বার্থেই জরুরি কারণ প্রথাবিরােধী ছবি দর্শককে শুধুই বিনােদনে বিভাের করে রাখার পরিবর্তে তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সচেতনতা। ফলশ্রুতিতে সমাজে টিকে থাকা অন্যায় আর অসঙ্গতির বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার সুযােগ সৃষ্টি হয়। এই বইয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন দশকে তৈরি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র কিভাবে প্রথাবিরােধী হয়ে উঠেছে তা আলােচনা করা হয়েছে।