“নাইন ইলেভেন সৌদি আরব গোপন দলিল” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
আল কুদহাইন এবং আল সালাউইয়ি দুজনেই সৌদি দূতাবাসের একটি। পার্টিতে যােগ দেয়ার জন্য ফিনিক্স থেকে ওয়াশিংটনে যাওয়ার জন্য বিমানে করে রওনা করেন। প্লেনে ওঠার পর থেকেই ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টসকে তারা বিমানের। ব্যাপারে নানারকম টেকনিক্যাল প্রশ্ন করতে থাকেন। ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টসের কাছে। তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। বিমান আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই কুদহাইন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে জিজ্ঞেস করেন বাথরুম কোথায়। ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টস তাকে বিমানের পেছনের দিকে অবস্থিত বাথরুম দেখিয়ে দেন, কিন্তু কুদহাইন সেদিকে না গিয়ে বিমানের সামনের দিকে হাঁটা শুরু করেন এবং দুইবার। বিমানের ককপিটে ঢােকার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় বিমানটি ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করে এবং এফবিআই তাদেরকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে কুদহাইন এবং সালাউয়ি দুজনেই দাবি করেন যে তাদের বিমানের টিকিটের খরচ সৌদি দূতাবাস থেকে দেয়া হয়েছে এবং তারা সেখানেই যাচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এফবিআই তাদের ব্যাপারে কোনাে আইনি পদক্ষেপ না নিয়েই তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে এফবিআই যখন আবিষ্কার করে যে সালাউয়ির গাড়ি যিনি চালাচ্ছিলেন তার ব্যাপারে ফিনিক্সে কাউন্টার-টেরােরিজম তদন্ত চলছে তখন এফবিআই। সালাউয়ির ব্যাপারেও কাউন্টার টেরােরিজম তদন্ত শুরু করে। ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে এফবিআই এর কাছ থেকে এক রিপাের্টের মাধ্যমে জানতে পারে যে সালাউয়ি আফগানিস্তানের জঙ্গি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ। নিয়েছে এবং খাবার টাওয়ারে (Khobar Tower) বিস্ফোরণকৃত বিস্ফোরক দ্রব্যের ওপর বিশেষভাবে ট্রেনিং নিয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর এফবিআই-এর ফিনিক্স ফিল্ড অফিস ১৯৯৯ সালের এই ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত। তথ্য হেডকোয়ার্টারে পাঠায়। এ ব্যাপারে ফিনিক্সের এফবিআই ফিল্ড অফিসে। যােগাযােগ করলে তারা জানায়, তারা এখন বিশ্বাস করে যে সেদিন এই দুজন। আমেরিকান ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি তদন্ত করে যাতে। পরবর্তীতে ওসামা বিন লাদেন/আল কায়েদার অপারেশনটি সফল করা যায়।