“সুখিয়া” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
এসব একেবারেই ভালাে লাগে না জমালিদার। বরং মন থেকে একটা উটকো ঘৃণা বমির মতাে উগড়ে আসতে চায় । যে ক্লিষ্ট জীবনের ভার তাদের বয়ে চলতে হয় এখানে সুখ নামের কিছু জিনিস ক্ষণিকের জন্য এলেও সেটা দুঃখই বাড়াবে। কিন্তু ছেনুয়ারের মন থেকে কিছুতেই বিষয়টা দূর। হয় না। একটা জগদ্দল পাথর হয়ে যেন বা আজন্ম। পুরােহিতের মতাে বসে গেছে বুকের খােয়াড়ে। তাকে আর চাইলেই নাড়া দেয়া সম্ভব নয় । বাড়ি এসে সেই ধ্যান করতে করতে তার সময়গুলাে অনর্থ ভ্রমণে ছুটে । নিরুদ্দেশ রাতগুলােকে ঘুমের ঘরে আনতে বেগ পেতে হয়। অথচ ছেনুয়ারের জীবনেও দুঃখ কম গতি আনেনি। ক্রমাগত বিচ্যুতি আর বৈষয়িক তফাতগুলাে তাদের পরিবারেও এতটাই প্রকট ছিল যে একটা সময় দিনের পর দিন পরগাছা ভাবতে হয়েছে সবাইকে। সেই বিচ্যুতিগুলােকে এখনাে নিরাময়ে আনতে পারেনি ছেনুয়াররা। তবু মানুষ বলে কথা। আবেগী নৌকায় দুলতে দুলতে একটা আয়েশি গান কার না ধরতে ইচ্ছে করে।