“শাংগ্রিলার খোঁজে” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
গহীন হিমালয়ের মাঝে এক যে ছিল দেশ—নিষিদ্ধ, রহস্যে ঘেরা। কলকাতার এক বাঙালি যুবককে বৌদ্ধ পণ্ডিত সাজিয়ে পাঠাল ব্রিটিশ সরকার। সন ১৮৭৯। ঠিক সেইসময়। দার্জিলিঙের এক নিরক্ষর দর্জি চলেছে সেখানে বিশ্বের না দুর্গমতম গিরিখাতের ভেতর বয়ে চলেছে যে নদী, তার অজানা পথের সন্ধানে। ইতিহাস এঁদের মনে রাখেনি। এক অবিশ্বাস্য যাত্রার কাহিনি চাপা পড়েছে সরকারি মহাফেজখানার ধুলােয়। যদিও সেই যাত্রাপথের রেখা ধরে গুপ্তচর, সেনানায়ক, প্রেমিক ও প্রকৃতিবিদেরা গিয়েছে তারপরে। তার আগেও। রহস্যনদীর পথ, লুকোনাে উপত্যকা থেকে শুরু করে স্বজাতির উৎস সন্ধানে বেরিয়ে তারা কখনও কিছুই পায়নি, মারা পড়েছে বেঘােরে, কিংবা খুঁজে পেয়েছে এক নতুন প্রজাতির নীল পপি, ঝর্ণার গায়ে একটি নিটোল রামধনু, অনির্বাণ প্রেম। পাহাড়ি পথের মতাে, নদীর মতাে বহুধা আখ্যানের জাল ছেয়ে এসেছে উত্তরপূর্ব হিমালয়ে। সেই জালে আটকে পড়েছেন লেখক। সিমলায় পুরােনাে বইয়ের দোকান থেকে শিংলিলার জঙ্গল, পার্ক স্ট্রিটের গােরস্থান থেকে অরুণাচলের প্রত্যন্ত জনপদে হাতড়ে বেড়িয়েছেন সেই জালের গিট, যা খুলতে পারলে মিলে যেতেও পারে শাংগ্রিলার ঠিকানা।