“মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস : নোয়াখালী জেলা” বইটির ‘বই প্রসঙ্গে কথা’ অংশ থেকে নেয়াঃ
গ্রন্থমালায় মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে—
১. বাঙালি জাতি ও বাংলা নামের দেশ কীভাবে গড়ে উঠেছে,
২. পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বাঙালি ভাষা সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে,
৩. ১৯৭০-এর নির্বাচন ও তারই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তাল মার্চের ঘটনাপ্রবাহ এবং ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ,
৪. ২৫ মার্চ ঢাকায় গণহত্যা ও ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘােষণার কথা।
মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে—প্রতিটি জেলা পর্যায়ের সংগ্রামী জনতা, বাঙালি পুলিশ, ইপিআর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতিরােধ গড়ে তােলার পাশাপাশি ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের কথা। সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা পেয়ে যায়। আর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্যে অনেকেই কীভাবে নিজস্ব এলাকায় অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, আবার অনেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণকেন্দ্রে কীভাবে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযােদ্ধা হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন—এ বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।