দোষ বিভাসের নিজের, এখন আর কপাল চাপড়ালে কী হবে? তখন সকলে বেঁকে দাঁড়িয়েছিল, আত্মীয়-স্বজন সবাই। কিছু পরিমাণে বন্ধুবান্ধবও। কিন্তু বিভাসের এক গোঁ। বিয়ে যদি করতেই হয় তাে সুরমাকে। রূপ! রূপ মানুষের কদিনের? যৌবনও তাে পদ্মপাতার জল। যা থাকে তা মানুষের মন। সেই মনের পরিচয় বিভাস পেয়েছে। একদিনের নয়, বছর দুয়েক সুরমার পাশাপাশি বসে।
যােগাযােগটা অদ্ভুতই। হিন্দি ক্লাস। অফিস থেকে পরােয়ানা বেরােল-উন্নতি করতে হলে হিন্দি ভাষাটা রপ্ত করতেই হবে। দস্তুরমতন রপ্ত। রিকশাওয়ালা আর মুচির সঙ্গে হিন্দিতে দরদস্তুর করতে পারলেই চলবে না, পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। খুঁজে পেতে বিভাস এক হিন্দি ক্লাসে গিয়ে বসল, আর বসল একেবারে সুরমার পাশে।
সুরমার অবস্থাও তথৈবচ। সুহাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ওপর থেকে হুমকি এল হিন্দিটা শিখে ফেলতে হবে। শিখতে পারলে আখেরে ভাল হবে। হিন্দি সার্টিফিকেটের পালে ভর দিয়ে তরতর করে বেয়ে যাবে প্রমােশনের পানসি। এফিসিয়েন্সি বারের চড়ায় আটকাবার ভয় থাকবে না।