“ঘুমের দরজা ঠেলে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
এক অনন্ত নক্ষত্রবীথির সামনে আমরা দাড়িয়ে। শূন্যে কালপুরুষের তরবারি। নীচে স্বেদ, রক্ত, শব্দগুঁড়াে, ভাসমান কাগজের স্তূপ। শব্দের শরীর এত ভাস্কর্যময় তা কি আমরা জানতাম? যেন তাদের নীল দ্যুতি আমাদের করােটি ভেদ করে চলে যাবে! ঘুমের উতরােল ঢেউ পার হয়ে বিশ্বসাহিত্যের এক গ্যালারিতে আমাদের নিয়ে হেঁটে চলেছেন লেখক। কে নেই সেখানে? শিল্পসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নক্ষত্রেরা— শেক্সপিয়র, মার্লো, পাসকাল, লা রােশফুকো, ভলতের, কোলরিজ, ভিক্টর য়্যুগো, বঙ্কিমচন্দ্র, তলস্তয়, তরু দত্ত, শােপেনহাওয়ার, নীৎশে, বােদল্যের, মালার্মে, রমা রলাঁ, অবনীন্দ্রনাথ, মপাসাঁ, প্রস্ত, সার্জ, আপােলিনের, এলিয়ট, স্যান্ডবার্গ, বেকেট, আঁরি মিশাে, এলুয়ার, প্রেভের, জীবনানন্দ, বুদ্ধদেব বসু, সিলভিয়া প্লাথ, চ্যাপলিন, সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, অন্নদাশঙ্কর, জ্যোতিভূষণ চাকী…। আছেন সুররেয়ালিস্তরা, আছেন জান দ্যুভাল, আছে সমুদ্র আর অন্ধকার। এ এক অন্যরকম বই, অন্যরকম অন্বেষণ, যে-অন্বেষণ ইতিহাস খুঁড়ে খুঁড়ে হারিয়ে যাওয়া মানুষের কণ্ঠস্বর খোঁজে। ফলে নিষ্প্রাণ জ্ঞানবস্তুর গায়ে লাগে সাতরঙা আলাে। আমাদের ক্রমক্ষীয়মাণ মনীষার জগতে এই বই এক অন্যরকম সংবেদী সংযােজন।