সন্ত্রাসবাদের তীব্র ক্ষতিকারক দিকের কথাই রেইপ ট্রায়াল বইতে বর্ণিত। এর শিকার হচ্ছে সাধারণ হত দরিদ্র মানুষ। যেখানে দুই দেশের মিত্রতার দরজা খােলার চেষ্টা হচ্ছে, অর্থনৈতিক আদান-প্রদানের পথ খোঁজা হচ্ছে, সেখানে বারবার সন্ত্রাসবাদ নামক আত্মঘাতী আগুনই প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এটাও তাে একপ্রকার সামাজিক ধর্ষণই বটে। সুস্থ স্বাভাবিক নাগরিকদের প্রতি। বাবরি মসজিদ থেকে পরমাণু বিস্ফোরণ, সন্ত্রাসবাদ থেকে অনাহার দারিদ্রের প্রতি লেখকের চিন্তাভাবনা প্রসারিত হয়েছে এই রেইপ ট্রায়াল বইটিতে।
দারিদ্র ও অসহায়তার সুযােগ নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতি বঞ্চনা, অপ্রাপ্তি ঘটিয়ে চলেছে এক শ্রেণীর শক্তিধর। পরমাণু শক্তিধর হতে যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই অর্থে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষকে, তার কর্মশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক উন্নতি ঘটানাে যায়, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। পরিবেশ ধ্বংস করে এমনকী খাদ্য, পানীয় থেকেও প্রতিনিয়ত বঞ্চনা চলছে দারিদ্র্যের প্রতি। এই অসাম্য, এসবই সামগ্রিক অর্থে ধর্ষণেরই ভিন্ন রূপ। এই বঞ্চনা শুধু ভারতেই নয়, পাকিস্তানে নয়, বিশ্বজুড়েই। লেখক দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতায় নিষ্ঠুর সত্যের এক ছবি তাঁর কলমে তুলে ধরেছেন।