“কবিতাসমগ্র” ফ্ল্যাপে লেখা কথা:
কাজল শাহনেওয়াজের কবিতাগুলি উভচর। বিগত ৩৭ বছর ধরে নিজেকে সম্প্রসারিত করেছে, বর্ণ থেকে বর্ণোত্তর হয়েছে, গভীর থেকে সারফেসে উঠেছে। শান্ত থেকে রাগী হয়ে স্বস্তি থেকে অস্বস্তি পর্যন্ত রূপান্তরিত হয়েছে।
তাঁর কবিতার বই বহু আগে থেকেই ছিল দুষ্প্রাপ্য। হাতে-হাতে ঘুরতে ডিজিটাল বই। অথচ দিনে-দিনে এই কবিতাগুলি পড়ার তৃষ্ণা পাঠকের মেটে নাই।। তার কবিতার নিজস্বতা এখন অনেক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিষ্কার হয়েছে তাঁর উদ্দেশ্য। মাত্র অল্পকিছু কবিতা, কিন্তু তীব্র তার বিষয় পরিধি!
জগতের সকল রকম শব্দ সুধা যেন তার লক্ষ্য। চার দশকের সীমানা ছাড়ানাের নেশায় মত্ত কাজল শাহনেওয়াজের কবিতা বার বার বাঁক বদল করেছে, বাক্যে, বানানে তার চিহ্ন বিরাজমান। এমন সব বিষয় তাঁকে উত্তেজিত করেছে, যা নাচায় এবং নাচে। এক অশ্রুত গােপন দেহছন্দে লেখা সেই কবিতা, যার স্পন্দন বুঝা যায় পলকেই, কিন্তু চোখে বুঝতে সহজে দেখা মেলে না!
এমন এক ভাষায় লিখতে চেয়েছেন, যাতে সরকারী গােয়েন্দারাও তব্দা খেয়ে যায়।