মানুষ নিজেই নিজের কাছে সবচেয়ে বড় বিস্ময়! নিজেকে চিনতে কেটে যায় এক জনম। সৃষ্টিকর্তা মানুষের মস্তিষ্কে যে উচ্চক্ষমতা দিয়েছেন তার যথার্থ ব্যবহার না জানার কারণে আমরা সবাই সফল হতে পারি না। সাফল্যের জন্য আগে প্রয়ােজন মানুষের লুক্কায়িত শক্তির স্ফুরণ আর যথাযথ অনুশীলন ও প্রয়ােগ। প্রজন্ম-প্রেরণা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে স্বপ্নের সমৃদ্ধ দেশ গড়া সম্ভব। তবে এজন্য দরকার তারুণ্যের জাগরণ। কারণ এদেশের বিপুলসংখ্যক তরুণদের কাজে লাগাতে পারলে নিশ্চয়ই সাফল্য আসবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে সেজন্য তরুণদের দিতে হবে গুণ মানের শিক্ষা ও নয়া নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ। মনে রাখতে হবে তরুণ মুক্তিযােদ্ধারাই অকাতরে রক্ত ঝরিয়ে অর্জন করেছে আমাদের প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশ। ভালােভাবে খেয়ে পরে উন্নত এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বিভাের হয়েই তারা একাত্তরে আত্মদানের প্রতিযােগিতায় নেমে পড়েছিল। নানান। চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ উন্নয়ন অভিযাত্রায় অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে। এর পেছনেও তারুণ্যের অবদান অনস্বীকার্য। প্রযুক্তিনির্ভর আগামীর বাংলাদেশেও তরুণরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তাই তাদের দেশেপ্রেম ও ভরসা গেথে। দেবার প্রয়ােজন রয়েছে। আর তা করা গেলে নিশ্চয়ই তারা আত্মনির্ভর উদ্যমশীল এক জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল লেখক নাজমুল হুদার ‘এক্স-ফ্যাক্টর নিজেকে জানার অজানা। সূত্র প্রকাশনার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় ও সময়ােপযােগী। আশা করি বইটি পড়ে সব বয়সের পাঠকরা আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে নতুনভাবে এগিয়ে যাবে আগামীর পথে।