আবদুল্লাহ আল মামুন ছড়া-কবিতা লেখেন তার নিজস্ব ঢঙে, আপন আনন্দে। ছড়া-কবিতায় ছন্দ ও অন্ত্যমিলের যে প্রাণ রয়েছে তা খুব সহজেই উঠে আসে তাঁর লেখা কবিতাগুলোতে। তাঁর লেখার গতি অনবদ্য, সরল। প্রকাশভঙ্গি একেবারে সহজাত তবে বিভিন্নমুখী। যেন তাঁর চারপাশে যা কিছু ঘটছে, বা তিনি যা কিছু দেখছেন সবকিছুই শব্দজাত হয়ে উঠছে অনায়াসে। বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তেমন বাছবিচার নেই। সবকিছুই তাঁর লেখার বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে ক্ষুরধার লেখনীশক্তির কারণে। কী আশ্চর্য সেই শক্তি যেখানে প্রকৃতি, প্রেম, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, দ্রোহ, বিদ্রোহ সবকিছুই তার লেখার উপজীব্য হয়ে উঠছে বিরামহীনভাবে। “প্রেম, প্রকৃতি এবং…” তাঁর প্রথম কবিতাগ্রন্থ। এতে যেমন প্রেমের আরাধ্য বিষয়গুলো মূর্ত হয়ে উঠেছে তেমনিভাবে প্রকৃতির বিভিন্নতাও সরলভাবে উঠে এসেছে কবিতার সহজবোধ্য পঙ্ক্তিমালায়। সত্যিকার অর্থে, প্রেম আর প্রকৃতি আলাদা কিছু নয়, বরং পরস্পরের পরিপূরক। আর এভাবেই আবদুল্লাহ আল মামুন খুব সহজ সরলভাবে প্রেম ও প্রকৃতির পরিপূরক হয়ে কবিতা নিয়ে হাজির হয়ে যান তাঁর পাঠকের কাছে। এখানেই তাঁর কৃতিত্ব, শতভাগ স্বতঃস্ফূর্ততা। তাঁর প্রথম কবিতাগ্রন্থ সফল হোক এটাই একান্ত প্রত্যাশা। মঈনুল হাসান ছড়াকার ও কথাসাহিত্যিক