“জোড়া দেবো কত শত তাল” বই এর ফ্ল্যাপের কিছু কথা :
শতচ্ছিন্ন শাড়ি তালি দিতে দিতে বেলা বয়ে গেল। চারদিকে কিলবিল করছে আগুনের চারা। মাটির মানুষ সেখানে অথর্ব অক্ষম দিশেহারা। কানামাছি খেলতে খেলতেই সময় শেষ। কঙ্কাল কাণ্ড কেনাবেচা হয় হাটে, মাঠে ঘাটে। মানুষ স্বপ্ন দেখে, শখের ঘুড়ি ওড়ায় আকাশে। কিন্তু কে নেবে এই দায়ভার? নখবন্দনায় রত হয় নষ্ট নটরাম। ফুলপোকা গা গতরে বসায় বিষাক্ত কামড়। প্রলাপ করে কাব্য। পৃথিবী হতভম্ব হয়। সূর্যের বিয়ে হয়। কিন্তু প্রমাণিত হয় এই ধরাধামে সবই মিথ্যা। কী লজ্জা, কী লজ্জা! চালচুলা নেই, এর মধ্যেও নারীবন্দনা করে কিছু চিহ্নিত কাপুরুষ। কবি এসব জঞ্জাল কেড়ে নিতে চায় বিপুল স্পর্ধায়।
নিজেই তৈরি করতে চায় ভিন্ন অন্ধকার। যেখানে অপার স্বাধীনতা। কবি কি নির্মাণ করতে পেরেছেন সেই আরাধ্য জগৎ? জোড়া দিতে পেরেছেন সেই শতচ্ছিন্ন তালি? এরই প্রতিবিম্ব খুঁজতে হবে এই কাব্যগ্রন্থে। হয়তো পেয়ে যেতে পারেন এর ছায়ালিপি। যেখানে রাজ্যজুড়ে শুধু ছিদ্রের ঝড়। যেখানে মড়মড় করে ভেঙে পড়ে প্ৰজার হাতে গড়া অগণিত ঘর।
সূচিপত্র:
অমল বকুল ফুল -৯
তিনটি চাবি -১০
দ্রিা -১১
জোড়া দেবো কত শত তালি -১২
নারী -১৩
ঘোর -১৫
ভাগ্যরেখা -১৭
ছায়া হয়ে তার পাশে বসবেই -১৮
করিমন -২০
ফণীভূষণের বাড়ি -২২
মেঘ শিশিরের গল্প -২৫
কারাগারে আমি একা -২৮
তবুও এসো -২৯
একা একা বেঁচে থাকা যায় -৩১
মৃত্যুকে পুরোরি বুঝি -৩২
মাটির মানুষ -৩৩
শেষ হবে সব অবসর -৩৫
আগুনের চারা -৩৬
কানামাছি ভো ভো -৩৭
কঙ্কাল কাণ্ড -৩৮
শূন্য শুধু পড়ে থাকে একা -৪০
পূর্ণ করে দাও -৪১
সুখ-দুঃখের পাঁচালি- ৪৩
সই -৪৪
কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না -৪৫
স্বপ্নে গড়া তিনটি পুতুল -৪৬
শখের ঘুড়ি ওড়াও তুমি-৪৭
মালা ও পান্তাভাতের গল্প-৪৮
ভ্রান্তি -৪৯
নখ-বন্দনা।-৫০
আমি কি নষ্ট নটরাম-৫২
ফুলপোকা।-৫৩
বুকপকেটে জোনাকি -৫৪
কাব্যপ্রলাপ -৫৫
দুই পৃথিবী একলা আমি – ৫৬
সাপ ব্যাঙের ইতিকথা-৫৮
খুঁত -৬০
এই ধরাধামে সবই মিথ্যা-৬২
পথ।-৬৩
কী লজ্জা৬৬!কী লজ্জা!-৬৬
খাটিয়ার মতো খাট -৬৭
শনি- ৬৮
“খেলারাম খেলে যা”।-৬৯
পৃথিবীর খাটের তলায়- ৭০
চাল নেই চুলো নেই-৭১
প্রতিটি নারীতে কী থাকে।-৭২
আমার অন্ধকার।-৭৩
কিছু স্বাদ পাই, বাকিটুকু পাখি নিয়ে যায়- ৭৪
হাত কেড়ে নাও, মনটা থাক -৭৫
দায়ভার- ৭৬
নারীবন্দনা-৭৯
আজ সূর্যের বিয়ে-৭৭