সারসংক্ষেপঃ
সারাদিনের কর্মক্লান্তির পর পুরুষ তার নিঃসঙ্গ জীবনে কোনো নারীর কথা ভাবে। নারী তার স্টাইলে, ঢঙে, চলনে, নিত্য নতুন সাজে ধরা পড়ে সে ভাবনায়। রোমান্টিকতা আক্রান্ত মন অন্বেষণ করে সেই প্রেয়সীকে। ‘শেষ দৃশ্য’ উপন্যাসের প্রেমিক দিহান ও তেমনি বহু কষ্ট, ক্লান্তির পর খুঁজে পায় তার আরাধ্য প্রেমিকা উর্বশীকে। দিহান জয় করে তার ভালোবাসা। প্রেমের মধুর কথাস্রোতে চলতে থাকে পারস্পারিক বোঝাপড়া। তারা অপেক্ষমান সুন্দর আগামিকে সাজানোর পরিকল্পনা করে। শুধু বিয়ের অপেক্ষা। কিন্তু উর্বশীর স্বেচ্ছাচারী বাবার একক সিদ্ধান্ত তাদের সযত্নে বেড়ে উঠা ভালোবাসাকে বেড়ে উঠতে দেয়নি। উর্বশী বাধ্য হয়ে অন্য পুরুষকে বিয়ে করে। তার পর? শেষ দৃশ্যের অপেক্ষা। কী হলো দিহানের? জীবনের মাঝপথে ব্যর্থ হলো দিহানের চাওয়া-পাওয়ার সকল আয়োজন। অন্ধকারে ঢেকে যায় তার পৃথিবী। অদূরে সে শুনতে পায় সমুদ্রের গর্জন। অতঃপর বুকের ভেতর ভঙ্গনের শব্দ। তার পর কিছু বলতে পারে না। দুর্বহ যন্ত্রণা নিয়ে অচেতন অবস্থায় মুখ থুবরে পড়ে থাকে।
অসাধারণ ভাষাশৈলী, রোমান্টিক সংলাপ আর হৃদয়গ্রাহী বর্ণনার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে ‘শেষ দৃশ্য’ উপন্যাসের কাহিনী।