এই গল্প আজ থেকে একশ বছর পরের ঢাকা-চট্টগ্রাম কম্পিউটারাইজড হাইওয়ে ধরে চলছে সফটওয়্যার প্রকৌশলী সাজেদ। রায়হানের গাড়ি এই মহাসড়কটি আসলে ডেটা ওয়ে। এখানে ঢুকলে চালককে গাড়ি চালাতে হয় না। গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ডেটাওয়ের হেড কোয়ার্টার স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চলে। এখানে ঢুকলেই ডেটাওয়ের নিউরাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে গাড়ির সফটওয়্যারের অটোমেটিক যােগাযােগ হয়ে যায়। এই পুরাে সিস্টেম দাঁড় করিয়েছে রায়হান। কিন্তু গাড়ি চালাতে গিয়ে সে নিজেই তাঁর সাবেক প্রেমিকা সুমির হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ে সুমি ডেটাওয়ের সব কমান্ড। ওলটপালট করে দেয়। ভুল কমান্ডের শিকার হয় তিন শ কিলােমিটার গতিতে ছুটে চলে রায়হানের গাড়িসহ বহু গাড়ির এক বিশাল কনভয়। রায়হানের ফোনে আসতে থাকে সুমির পৈশাচিক উল্লাসে ভরা এসএমএস। ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসতে থাকে মৃত্যু। নিজে বাঁচতে ও বহু মানুষকে বাঁচাতে শুরু হয় বুদ্ধির তুমুল লড়াই। মৃত্যুর মুখােমুখি দাঁড়িয়ে লড়তে থাকে রায়হান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ডেটাওয়ে থেকে সে কি বের হতে পারবে?