“আমি শচীনকর্তা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
উপমহাদেশের খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেববর্মণ। তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের রাজপরিবারের সদস্য এবং যুবরাজও বটে। কিন্তু এ পরিচয় শুধুমাত্র পারিবারিক ও ঐতিহ্যগত। এ পরিচয়ে তিনি ততটা খ্যাতিমান নন। তাঁর মেধা, অধ্যবসায় এবং সাধনা তাঁকে সঙ্গীত-জগতে রাজপুরুষের চেয়েও খ্যাতিমান ও অমরত্ব দান করেছে। তিনি একজন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত-পরিচালক।
শচীন দেববর্মণ তথা শচীনকর্তা কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেছেন, কুমিল্লার মাটি ও মানুষ তাঁকে বেড়ে উঠতে, বিকশিত হতে সহযােগিতা করেছে, তা সর্বজনস্বীকৃত। তাঁর জীবনের তিনটি পর্ব- কুমিল্লা-কলকাতা-বােম্বাই (মুম্বাই) এক ধারাবাহিক বহমান স্রোতস্বিনী নদীর মতাে। ভিত্তিটা কুমিল্লা-পর্ব, যেখান থেকে তাঁর বিকশিত বা হওয়ার সূত্রপাত। এই সূত্র ধরে ত্রিপুরার রাজপরিবারের ক্রমধারায় শচীনকর্তার অবস্থান এবং আত্মকথন আদলে কুমিল্লার জীবনকে নির্মোহভাবে তুলে ধরেছেন গভীর অভিনিবেশে। এভাবেই আমি শচীনকর্তা এ বইটি উপস্থাপিত। তাতে জানা-অজানা বিষয় অবতারণা করা হয়েছে সহজবােধ্যতায়।