আত্ম উন্নয়ন বই স্টুডেন্ট কালেকশন

৳ 600.00

লেখক ঝংকার মাহবুব
প্রকাশক রকমারি কালেকশন
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২৬১
দেশ বাংলাদেশ

“রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি” বইটি কাদের জন্য দিনে কয়বার মোবাইলের চার্জ চেক করো? চার্জের লাল বাত্তি জ্বলার আগেই লাফাইতে লাফাইতে চার্জার নিয়ে বসে পড়ো! অথচ কখনো কি চেক করেছো তোমার লাইফের চার্জ কতটুকু আছে?
যারা লাইফের চার্জ কতটুকু আছে চেক করতে চায়। দরকার হলে নিজেকে রিচার্জ করে নিতে চায়। মরা ইঞ্জিন নিয়েও কেরামতি দেখাতে চায়। বন্ধুত্বের ভাইরাস, ছুতার জং, ভালো না লাগার রোগ সেরে ফেলতে চায়। তাদের জন্য এই বই। যাতে তারা সময়মতো কনফিডেন্সের বড়ি গিলতে পারে, কোপা শামসু স্টাইলে ফাইট দিয়ে জীবন ঝাক্কাস বানাতে পারে।

এই বইটির উদ্দেশ্য
এই বইটির উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাকে লাইফের জন্য, স্বপ্নের জন্য, অর্জনের জন্য একটা চার্জার দেয়া। যাতে যখনই দরকার পড়বে তখনই রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি বই নিয়ে নিজেই নিজেকে রিচার্জ করে নিতে পারো।

এটা কি ধরনের বই
এইটা জীবনের বিভিন্ন সিচুয়েশনে হাল কিভাবে ধরবে সেই গাইডলাইনের বই। একটু পিছিয়ে পড়ার পর, লাইফে কামব্যাক করার বই। স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে গিয়ে কিছু ভুল করে ফেলার পর আবারো লাইনে ফেরত আসার উপায় নিয়ে আলোচনা করা বই।

বইয়ের ভূমিকায় লেখক লিখেছেন
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে, প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুটের এই আমার; টুক টুক করে এই বই লিখতে মাথার ঘাম পায়ে পড়েছে। কারণ বেশিরভাগ সময় ফ্যান চালানোর জন্য কারেন্ট থাকতো না।
তার উপরে আমি যে মোবাইলে লিখতাম সেটার প্রসেসর, মেমোরি, সিমকার্ডসহ সবকিছু ঠিক থাকলেও, কিছুদিন পর পর সেটা আর চলতে চাইতো না। কারণ চার্জ শেষ হয়ে যেতো। তাই সেই মোবাইল রিচার্জ করতে করতেই আমি আমার চিন্তাভাবনা, কাজের স্পৃহা আর চেষ্টার আগ্রহকেও রিচার্জ করার ট্রাই করতাম। আর তাতেই পয়দা হয়ে গেছে প্রায় চল্লিশখানা লেখা।
এই লেখাগুলাতে একজন ঘনিষ্ঠ বড় ভাই তার ছোট ভাইকে বিভিন্ন সিচুয়েশনে গাইডলাইন দিচ্ছে। যেমনটা হয়ে থাকে চায়ের দোকানে, মেসের আড্ডাতে, পিকনিকের বাসে কিংবা ক্যাম্পাসের করিডোরে।
-ঝংকার মাহবুব, মরা ইঞ্জিনের হেলপার
www.JhankarMahbub.com

সূচি/বইতে যেসব গাইডলাইন দেয়া তার কয়েকটা
আয়েশ আর অর্জন এক পথে চলে না
শান্টিং না দিলে পানি উপরে উঠে না
দু-একটা ল্যাং খাইলে ফিউচার ডাউন খায় না
সাবজেক্ট ক্যারিয়ারের জন্য বেরিয়ার হয় না

লেগে থাকাই অর্জন
অর্জনই গর্জন
ছেড়ে দিলে হেরে যাবে
কন্ট্রোল না করলে, কন্ট্রোলিত হবে

কনফিডেন্সের বড়ি গিলো
অপেক্ষা না করে অপশন ধরো
ভালো না লাগা- একটা জাতীয় সমস্যা
রিস্ক নেয়াটা সফলদের তপস্যা

বন্ধুত্বের ভাইরাসে কামড়ালে জান হবে কয়লা
বেশি ছুতা ধরলে ইঞ্জিনে ধরবে জং আর ময়লা
পারফেক্ট টাইম, পারফেক্ট কন্ডিশন দিবে মুলা
জীবন ঝাক্কাস বানাতে ফলো করো ৫স ফর্মূলা

বারে বারে লাথি দিলে তালা ঠিকই ভাঙ্গবে
আত্মদিবসের ডোজ খেলে স্বপ্নগুলো জাগবে
ভাইবো না, চাকরি করলেই হয়ে যাবে ধনী
বিজনেস করতে নামলে খাইতে হবে কনি

মন খারাপ করা মরণ ব্যাধি
রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি
হীনমন্যতা নামের টাল্টিবাল্টি ছাড়ো
লম্বা প্ল্যান ছেড়ে, ছোট প্ল্যানের তাবিজ ধরো

মরা ইঞ্জিনের কেরামতি
লোনলিনেসে তেলেসমাতি
কপি ইজ দ্য সিক্রেট অফ সাকসেস
টার্গেট এচিভ করার মিশনে হইওনা মোখলেস

হেরে গেলেও ব্যর্থ হয় না চিতা
কিসিম বুঝে বাইধো লাইফের ফিতা
আরামের ব্যারাম ফিউচারে মারবে গুতা
সুখ হচ্ছে, আনন্দদায়ক মুহূর্তের ধারাবাহিকতা

আগে পারতাম, এখন হালুয়া টাইট
কাটপিস স্টাইলে কোপা শামসু দেয় ফাইট
শুধু স্ট্রাগলে ভরবে না স্বপ্নের ট্যাঙ্কি
ট্যালেন্ট দিয়ে মাইরো না হাঙ্কি-পাঙ্কি

“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর ফ্ল্যাপ: আমাদের অধিকাংশই বই বলতে মূলত দুরকমের বইকে বুঝি! একটা পাঠ্যবই অন্যটা গল্পের বই।
হাজারো ফিকশনের ভীড়ে আমরা আজকাল অন্য কোনও বিষয় নিয়েও যে লেখা যেতে পারে তা ভুলতেই বসেছি।
বই পড়ে আমরা আমাদের কল্পনাশক্তি সৃজনশীলতা ইত্যাদি গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে পারি। কেমন হতো যদি বই পড়ে বদলে ফেলা যেত নিজেকে? শেখা যেতো হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার, অপরিচিত কারও সাথে প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলার কিংবা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মতো দারুণ এবং বাস্তব জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু কৌশল।
‘Never Stop Learning’ বইটিতে সংক্ষেপে বর্ণিত আছে তেমনি কিছু আইডিয়া যেগুলো বর্তমান প্রজন্মের পাঠকদের কল্পনা আর সৃজনীশক্তির বিকাশের পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও উন্নয়নে সহায়ত করবে!

“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর ভূমিকা:
শেখার কোনো নির্দিষ্ট সময়, স্থান কিংবা সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানছি ও শিখছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাও সমভাবে প্রয়োজনীয়।
আর তাই, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে আমাদেরকে বেশিকিছু কৌশল রপ্ত করতে হবে। এ কৌশল বা আইডিয়াগুলোই আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এ বইটিতে এমনই কিছু ছোট্ট ছোট্ট আইডিয়া, কৌশল, হ্যাক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে যাতে করে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়াকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য, কুশলী এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটাকেও প্রাধান্য দেয় এবং প্রিয় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।

“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর সূচি:
* ০১ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও কিছু স্বপ্নের কথা-১১
* ০২ দৃষ্টিভঙ্গী বদলালেই বদলে যাবে জীবন-১৪
* ০৩ চীনা বাঁশের গল্প -১৭
* ০৪ মাদিবা থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা।- ২০
* ০৫ আমার ভর্তি যুদ্ধের গল্প।- ২৩
* ০৬ এবার মানসিক অশান্তিকে জানাও বিদায়- ২৬
* ০৭ একটি ভিডিও বাঁচাতে পারে লক্ষ প্ৰাণ।-২৯
* ০৮ দোষটা কি আসলে তেলাপোকার?- ৩২
* ০৯ গোলাপি হাতি থেকে রক্ষা পাওয়ার রহস্য- ৩৫
* ১০ পৃথিবীর সবথেকে ভালো আইডিয়াগুলো কোথায় পাওয়া যায়?-৩৮
* ১১ সুন্দর মানসিকতা গড়ে তোলার ৬টি উপায়।-৪০
* ১২ সিজিপিএ আসলে কতটা প্রয়োজন?- ৪৩
* ১৩ মন ভালো করার টোটকা -৪৬
* ১৪ একজন বৃক্ষমানবের গল্প। -৪৯
* ১৫ সময় বাঁচানোর শতভাগ কার্যকর কৌশল।-৫২
* ১৬ ফেসবুক সদ্ব্যবহারের ৩টি কার্যকরী আইডিয়া- ৫৫
* ১৭ ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের ১০টি উপায়।- ৫৮
* ১৮ ডিজিটাল ওরিয়েন্টেশন ও একটি স্বপ্নের কথকতা -৬২
* ১৯ শিক্ষাজীবনে যে ১০টি কাজ না করলেই নয়-৬৫
* ২০ প্রতিনিয়ত করে চলেছি যে ৪টি ভুল!- ৬৯
* ২১ বিনোদনের ফাঁকে ফোকাস করো নিজের উন্নতি- ৭২
* ২২ ভোকাবুলারি জয়ের ৫টি কৌশল- ৭৫
* ২৩ অপরিচিতের সাথে কিভাবে ফোনে কথা বলবে-৭৭
*২৪ সালাম দেয়া এবং ভালা গুণের প্রশংসা করা।-৮০
* ২৫ “তোকে দিয়ে কিছু হবে না” থেকে আত্মরক্ষার কৌশল -৮৩
* ২৬ একটি কমন অভ্যাস -৮৬
* ২৭ পরিশ্রমকে হ্যা বললা। -৮৯
* ২৮ প্ৰতিযোগিতায় যে গুণ গুলো থাকা প্রয়োজন। -৯১
* ২৯ আইডিয়াকে কাজে লাগাও, সাফল্যের পথে পা বাড়াও -৯৪
* ৩০ মার্শমেলো টেষ্ট ও দুরদর্শীতা -৯৬
* ৩১ নিজেকে জানো। -৯৮
* ৩২ কিন্তু সিজিপিএ? -১০০
* ৩৩ নিয়ন্ত্রণে রাখো নিজের সুখ -১০১
* ৩৪ হয়ে ওঠো পাওয়ার পয়েন্টের জাদুকর -১০৪
* ৩৫ টলারেন্স নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা। -১০৭
* ৩৬ চ্যাটিং করা থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, চ্যাটিং করা ভালো! -১০৮
* ৩৭ রাজার অসুখ আর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। -১১১
* ৩৮ আমার প্রথম পাবলিক পরীক্ষা আর ডোপামিন ইফেক্টের গল্প -১১৩
* ৩৯ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন গড়ে তোলে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম দিয়ে -১১৬
* ৪০ Sunk Cost-কে ‘না’ বলো, সাফল্যের পথে এগিয়ে চলো!- ১১৯
* ৪১ ইন্টারভিউয়ের কথকতা -১২১
* ৪২ এখনই লিখে ফেললা তোমার সিভি! -১২৪
* ৪৩ ফেসবুকের সঠিক ব্যবহার করে হয়ে ওঠো আদর্শ নাগরিক। -১২৭
* ৪৪ সময় নষ্টের মূলে যে ৮টি কারণ -১৩০
* ৪৫ সময় ব্যবস্থাপনার ৫টি কার্যকর কৌশল। -১৩৪
* ৪৬ সমালোচনা -১৩৭
* ৪৭ নিজেকে জানা, Elevator Pitch এবং আমাদের অবস্থান। -১৩৯

পাঠকসমাজে তাঁর পরিচিতি এখন গৎবাঁধা লেখার বাইরে নতুনত্বের আমেজ এনে দেওয়া তরুণ লেখক হিসেবে। তিনি ঝংকার মাহবুব, পেশায় একজন ওয়েব ডেভেলপার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক পাশ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ঝংকার মাহবুব। বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের মধ্য থেকে ঝংকার মাহবুব এর বই আলাদা করা যায় খুব সহজেই। তাঁর লেখার বিষয়গুলোও ব্যতিক্রমধর্মী। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে কীভাবে এ দেশের তরুণদের মাঝে সহজবোধ্য করা যায়– তা নিয়েই ঝংকার মাহবুব এর বই সমূহ। তাঁর লেখা বইগুলোতে তিনি প্রোগ্রামিংয়ের মতো কাঠখোট্টা জিনিসকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঝংকার মাহবুবের বই সমগ্র এখন এ দেশের তরুণ প্রোগ্রামারদের কাছে প্রোগ্রামিং শেখার মজার বন্ধু হয়ে উঠছে এবং এই বইগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু বই হলো রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি, হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং, প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস, প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী, প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল ইত্যাদি। প্রোগ্রামিং শেখানো সহজ করা বইগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলেও ঝংকার মাহবুব তাঁর লেখার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন তরুণ প্রোগ্রামারদেরকে। লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি শিকাগোর নিলসেন কোম্পানিতে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত আছেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ