“ঝাকানাকা বিজ্ঞান!” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ
ছোট বেলায় কেউ যখন জিজ্ঞেস করতো, “বড় হয়ে কি হতে চাও? সব সময় উত্তর দিতাম, “বিজ্ঞানী হতে চাই!” বড় হয়ে স্কুল-কলেজে পড়তে গিয়ে মনে হলো বিজ্ঞান বেশ কঠিন! কিন্তু যখন পরীক্ষায় ভাল করার জন্য নয়, মনের আনন্দ থেকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলাম তখন দেখি, বিজ্ঞান আসলে অনেক মজার একটি জিনিস! ছোট বেলায় আমাদের সবকিছু নিয়ে উৎসাহ থাকে, সবকিছু কিভাবে কাজ করে সেটা জানার আগ্রহ থাকে। বড় হতে হতে আমরা প্রশ্ন করতে ভুলে যাই। এই বইটি তোমাকে ভাবতে শেখাবে, আমাদের চার পাশের সবকিছু কিভাবে কাজ করে? কতো মজার সব জিনিস ঘটে চলেছে তোমার আশেপাশে! তুমি কি সেই গল্প গুলো জানো? কিছু গল্প তোমাকে হাসাবে, কোনটি তোমাকে ভাবাবে, আবার কোনটি পড়ে তুমি অবাক হয়ে ভাববে, “এও কি সম্ভব?!” সবশেষে তোমাকে মনে হবে, বিজ্ঞান জিনিসটি আসলে মোটেও কঠিন নয়! বরং অনেক মজার, অনেক আনন্দের, অনেক রোমাঞ্চকর! তোমাদের মধ্য থেকেই এক ঝাঁকমেধাবী ঝাকানাকা বিজ্ঞানী তৈরি হবে, সেই প্রত্যাশা রইলো!
ভূমিকা
স্কুল-কলেজে বিজ্ঞান আমরা সবাই কমবেশি পড়েছি, কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসা থেকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছি কয়জন? “বিজ্ঞান” শব্দটিই শুনতে কেমন খটোমটো লাগে, মনে হয় বুঝি খুব কঠিন কিছু! তাই বিজ্ঞান নিয়ে যখন লিখতে বসলাম, তখন মনে হলো সবার প্রথমে এই ভয়টি কাটানো উচিত! বিজ্ঞানের অনেক মজার মজার পরীক্ষানিরীক্ষা আছে, সেগুলো যেকোনো বয়সী মানুষ করে দেখতে পারবে এবং দারুণ আনন্দ পাবে। তাই বিজ্ঞানের বই এমন চমৎকার সব খেলা নিয়েই হওয়া উচিত! তারপর একটু লেখার পর মনে হলো, শুধু খেলাধুলা নিয়ে লিখলেই তো হবে না, বিজ্ঞান শেখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হচ্ছে নানা প্রশ্নের উত্তর জানা।
আমাদের মাথায় নানারকম জিজ্ঞাসা। থাকে, বিজ্ঞান সেগুলোর উত্তর দেয়। তাই সেগুলোই বুঝি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! তারপর আরেকটু লেখার পর মনে হলো, শুধু প্রশ্ন-উত্তর লিখলেই কি হবে? বিজ্ঞানের ইতিহাসে কতো চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে চলেছে! একদম আকস্মিকভাবে কতোকিছু আবিষ্কার হয়েছে সেগুলোর গল্পও কম মজার নয়, সেগুলোও সবার জানা দরকার! তাই বুঝি সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। লেখা আরো আগানোর পর মনে হলো আকস্মিক আবিষ্কার তো খুব বেশি নেই, বিজ্ঞান চলে কঠিন হিসেব-নিকেশের মাধ্যমে, হঠাৎ করে কিছু আবিষ্কার হওয়ার সুযোগ খুব কম। তাই মনে হলো বর্তমানে জনপ্রিয় যে প্রযুক্তিগুলো আমরা। সবাই ব্যবহার করি সেগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে একদম মিশে আছে সেগুলো কীভাবে শুরু হলো তার গল্পটিও সবার জানা দরকার, সেগুলো পড়ে মনে উৎসাহ জাগবে নতুন কিছু করার তাই নিশ্চয়ই সেই গল্পগুলোই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! একদম সব লেখার পর মনে কেমন খচখচে একটা ভাব রয়ে গেলো ! বিজ্ঞানের জগত প্রতি মুহূর্তে অসম্ভব দ্রুত।
সূচি
* বিজ্ঞানের মজার খেলা!
* ট্যানগ্রাম! ট্যানগ্রাম!
* বড় মিয়া আর ছোট মিয়া
* হরর মুভি আর হাতে ফুটো!
* আবারও বড় মিয়া আর ছোট মিয়া
* হাত থেকে হাত, নাকি মাথা থেকে পা?
* অদৃশ্য চিঠি!
* ভূত কোথায় উধাও হলো?
* তুলি বরফ, না ছুঁই পানি!
* কাগজে পানি গরম করা!
* নিউটনের প্রথম সূত্রের খেলা!
* রংধনু দেখা
* বাতাসের চাপ!
* বেলুন ফাটানো !
* পিঁপড়ার নৌকা
* মাথায় কত প্রশ্ন জাগে!
* পরীক্ষার আগে রাত জাগতে নেই কেন?
* মশাদের কীভাবে বোকা বানানো যায়?
* ফ্রিজের ডালা খুলে রাখলে কি ঘর ঠাণ্ডা হবে?
* আক্কেল দাঁত সমাচার!
* খাবার চিবিয়ে কেন খেতে হয়?
* শাকসবজি কেন খাওয়া দরকার বেশি বেশি?
* জ্বর কেন হয়?
* বিড়ালের নয়টি জীবন!
* সূর্যের দিকে তাকানো নিষেধ কেন?
* পৃথিবীতে এত পানি কোথা থেকে এলো?
* রাতে কেন দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন?
* ঝিঝি কেন ধরে হাতে-পায়ে?
* Google কীভাবে কাজ করে?
* Search Engine’ কী জিনিস?
* Search Engine’ এর যত কেরামতি!
* তথ্য খোঁজার ৩টি ধাপ।
* ওয়েব ক্রলিং (Web Crawling)
* মেটা ট্যাগস
* ইনডেক্স