“আঁধারের গায়ে গায়ে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
স্মৃতিবৈচিত্রের কতিপয় মুখশ্রী উঠে এসেছে অনুরণন থেকে। কালের ধূলােয় দেহপটের জৈবসহ যা-কিছু লীন হয়ে গিয়েছে, সেসব বিষয় নিয়ে। পড়ন্ত বিকেলের কথাচুর্ণ তৃষ্ণা বিষাদ ঠাই পেয়েছে নানাভঙ্গিম আলেখ্যে। মাতৃভক্তির নৈবেদ্য থেকে শুরু করে বন্ধুত্ব, প্রাগৈতিহাসিক দৃশ্যপট, অধুনামনস্কের সরস চিত্র ও পারিপার্শ্বিকতার মিশ্র গ্যালারি। গ্রন্থকারের দর্শন থেকে বিচিত্র সঞ্চয়। বহমান জীবনের বৈচিত্রপূর্ণ পথচলা, চলমান সময়ের বিভিন্ন ক্ষণে যেসব সান্নিধ্য-মানস-পটে যা কিছু জড়িয়ে আছে, তাই নিয়ে সৃষ্ট আঁধারের গায়ে গায়ে। প্রকৃতপক্ষে আগের গল্পগ্রন্থের মতাে বিষয়ের পটভূমি রুক্ষ ও নিস্করুণ। নির্দয়ভাবে মানুষের ভেতরকার ভাবনা খনন করে তুলে আনা হয়েছে, অধুনা ভাবনা নিংড়িয়ে।