মফস্বল শহর থেকে আলীম ঢাকায় আসে বড় লােকের ছেলে বন্ধু কবীরের কাছে। সে স্বপ্ন দেখে, উচ্চশিক্ষা নিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে। কবীরও বন্ধুর এ ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী। কিন্তু সে যে বড় ব্যস্ত। সে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজের দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জবর-দখলকারী দলের নেতৃস্থানীয় একজন। কবীর রােশনাকে ভালােবাসে। রােশনার ইচ্ছা এইসব দলাদলী বাদ দিয়ে কবীর লেখাপড়ায় মন দিক। কবীরের সাহায্যে আলীমের কলেজ-জীবন শুরু হলেও সে শিক্ষাঙ্গণের পেশীবাহিনীর খপ্পরে পড়ে যায়। এখানে তার সাহায্যে এগিয়ে আসে রােশনা। অন্যদিকে কবীরের প্রতিপক্ষ কুরবান তাকে চিরতরে সড়িয়ে দিতে চায় । রােশনার সহায়তায় কবীর দেশ ছেড়ে পালায়। কুরবানের অনুগত গবিরের ছেলে আমিন দলীয় দাঙ্গা-হাঙ্গামায় চোখ হারায়। চোখহারা আমিন যাওয়ার কোনাে জায়গা খুঁজে পায় না। তখন হঠাৎ করেই তার মায়ার কথা মনে পড়ে। একদিন তাকে সে বাঁচিয়ে ছিল। মায়ার সাথে তার যােগাযােগ হয়। সে আমিনকে সাদর-আমন্ত্রণ জানায়। মায়ার ঠিকানা হাতে অসহায় আমিন রামু-কক্সবাজারের বাসে উঠে পড়ে। কবীর রােশনা, আলীম-শিরীন, আমিন-মায়া কোথায় চলেছে, তা তাদের জানা নেই…