কবিতাকে যদি ভাবের বিমূর্ত প্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করি তবে কিন্তু কবি হিমু মােহাম্মাদের কবিতাগুলাে বেশ পাকাপােক্ত। কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় ঘুরেফিরে অনামিকার প্রতি কবির পরম নির্ভরতার পরিচয় পাওয়া যায়। অথচ সেই নিতাকে কবি যেন বিমূর্ত রেখে বারবার পাশ কাটিয়ে যেতে চেয়েছেন। কিছু কিছু কবিতায় এসেছে সমাজ-রাষ্ট্র-বর্তমান সভ্যতার নানাদিক। কবির যেন কোনাে একটা রােমান্টিক চেতনা সবসময় কাজ করে যাতে করে তিনি চিরচেনা এই যন্ত্রণাবিক্ষুব্ধ সময়ের থেকে বেরিয়ে একটু প্রশান্তির জগতে বিচরণ। করতে পারেন। বিষয়বস্তুর পাশাপাশি কবি সাহিত্যের বিভিন্ন ইজমের ব্যবহারও চমৎকারভাবে করেছেন। ছােট্ট একটি চরণে চিত্রকল্পের ভেতর কবি ঢুকিয়ে দিয়েছেন পরাবাস্তবতাবাদ বা সুররিয়ালিয়াম।