“বিসর্গ” বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া
বাংলাদেশে নারীর গড় আয়ু ৭২ বছরের কিছু বেশি । এই ৭২ বছরের জীবনেই কতগুলাে জীবনে যে বাঁচে নারী! নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত- উৎস আলাদা হলেও জীবনের শেষ গন্তব্যটা যেন এক দিকেই নিয়ে যায় নারীকে। “বিসর্গ” তেমন এক নারীর গল্প হতে পারতাে। খুব কি বেশি আলাদা কোনাে গল্প এটা? উত্তরটা আপনি জানবেন ।
বইয়ের নাম ‘বিসর্গ’ কেন? আমাদের নারী চরিত্রটি আত্মনির্ভরশীল। তবে জীবনের কোনাে সিদ্ধান্ত সে নিজে এগিয়ে গিয়ে নেয়নি। সবসময় কারাে জন্য, কারাে কাজের কর্মফল হিসেবে, কারাে কথায় এগিয়ে গিয়েছে সে জীবনের অলিগলিতে। অনেকটা বাংলা বিসর্গ অক্ষরের মতাে। নিজে একা কিছু না সে। তবে তাকে ছাড়া শব্দ পূর্ণতাও পায় না।
কখনাে কখনাে শুনতে ইচ্ছে করে না কারাে কথা, কারাে গল্প? দৌড়ে চলা এক নারীর গল্প ‘বিসর্গ’। অনেক বছর পর জেলের আলাে-অন্ধকারে একটু অবসর মিলেছে তার। পিছু ফিরে কখনাে তাকায়নি সে। তবে এখন তাে অখণ্ড সময় হাতে। তাই নিজের পেছনের সময়গুলােকে একবার দেখেছে সে আবার। বলেছে সেই গল্প । কথাগুলাে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে । সত্যি, না কল্পনা? সে যাকগে। গল্পটা তাে শুনে নিতেই পারেন, নাকি?