যে-মুখ অন্ধকারের মতাে শীতল, চোখদুটি রিক্ত হ্রদের মতাে কৃপণ-করুণ, তাকে তাের মায়ের হাতে ছুঁয়ে ফিরিয়ে নিতে বলি। এ-মাঠ আর নয়, ধানের নাড়ায় বিধে কাতর হলাে পা। সেবনে শাকের শরীর মাড়িয়ে মাড়িয়ে মাড়িয়ে আমাকে তুই আনলি কেন, ফিরিয়ে নে। পচা ধানের গন্ধ, শ্যাওলার গন্ধ, ডুবাে জলে তেচোকো মাছের আঁশগন্ধ সব আমার অন্ধকার অনুভবের ঘরে সারি-সারি তাের ভাঁড়ারের নুনমশলার পাত্র হলাে, মা। আমি যখন অনঙ্গ অন্ধকারের হাত দেখি না, দেখি না, তখন তাের জরায় ভর করে এ আমায় কোথায় নিয়ে এলি। আমি কখনাে অনঙ্গ অন্ধকারের হাত দেখি না, দেখি না। কোমল বাতাস এলে ভাবি, কাছেই সমুদ্র। তুই তাের জরার হাতে কঠিন বাঁধন দিস। অর্থ হয়, আমার যা-কিছু আছে তার অন্ধকার নিয়ে নাইতে নামলে সমুদ্র সরে যাবে শীতল সরে যাবে মৃত্যু সরে যাবে। তবে হয়তাে মৃত্যু প্রসব করেছিস জীবনের ভুলে। অন্ধকার আছি, অন্ধকার থাকবাে, বা অন্ধকার হবাে। আমাকে তুই আনলি কেন, ফিরিয়ে নে। কারনেশন প্রভেদ জটিল, অবগুষ্ঠিত সড়কে চাঁদের আলাে। তাকে দিয়ে অই ফুলটি কারনেশন। কতদিন তার মুখও দেখিনি, চেনা পদপাত পিছল অলক কালাে -ফুলের কথা বােলাে না কাউকে বুড়া মালঞ্চ। বী সকাল ফিরে এনেছে কে,কে মঞ্জরীর অস্বচ্ছ আলােছায়ে বনে ঘুরছে স্থলিত দ্রিা, কেউ-বা দুপুরে । উষ্ণ বায়ুর বিলাসে ঝাঁ ঝাঁ গায়ে গায়ে বর দুপুর ফুরােয় সন্ধ্যা শুধু জলরেখা শুধু জলরেখা।