“অনাদৃত নায়ক ইন্দ্রজ অর্জুন” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বটের ছত্রছায়ায় যেমন ছােট গাছ বেড়ে ওঠার সুযােগ পায় না, মহাভারতের মহাকাব্যেও তেমন বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রের অকল্পনীয়। বিশালতার নীচে মহাবীর অর্জুনের চরিত্র ঢাকা পড়ে গেছে আপেক্ষিক অন্ধকারে। অথচ নিজস্ব কৃতিত্বে অর্জুন মহানায়ক হওয়ার গ্রহণযােগ্য দাবি রাখে। সেই পরিব্যাপ্তি মহাভারতের মহাকবি দেননি অর্জুনকে। ‘অনাদৃত নায়ক ইন্দ্রজ অর্জুন’ গ্রন্থে লেখক অর্জুন চরিত্রটিকে নিজস্ব কল্পনায় আরও একটু গভীরভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন। মহাভারত পাঠে মনে হয় শুধু বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ আর দাদা যুধিষ্ঠিরের আজ্ঞাবহ হয়ে অর্জুনের মতাে বীরের জীবন কেটেছিল। তার নিজস্বতা, চিন্তা বা অনুভূতিগুলাে ছিল নেহাতই গৌণ। যুক্তি কিন্তু অন্য কথা বলে। বীরত্ব জন্মলব্ধ চরিত্রগুণ নয়। স্বভাবের নানান বিশিষ্টতার আদর্শ সংমিশ্রণ। তৈরি করে বীরত্বের উৎকর্ষতা। অর্জুনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিজস্বতা জলাঞ্জলি দিয়ে পরের আজ্ঞাবহ হয়ে জীবন কাটিয়েছে অর্জুন, এই মতের বিরুদ্ধে তর্ক তুলেছে বর্তমান গ্রন্থ।