“পাঠে বিশ্লেষণে বিশ্বগল্প : ছোটগল্পের শিল্প ও রূপান্তর” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
ছােটগল্পের উৎসমূল থেকে আধুনিক এবং উত্তরাধুনিক হয়ে ওঠার জার্নিটা উঠে এসেছে মূল টেক্সটসহ পাঠে-বিশ্লেষণে। এ ধরনের বই বিদেশে কিছু থাকলেও বাংলাদেশে এই প্রথম। ছােটগল্পের একাডেমিক পাঠের পাশাপাশি গল্পকারদের আত্ম-উপলব্ধির জন্য বইটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে। সাহিত্য-সমালােচকদের পাশাপাশি সাহিত্যের রসাস্বাদনে পাঠকমাত্রই বইটি পড়ে উপকৃত হবেন। যে ২৬টির মতাে গল্প পাঠসহ উপস্থাপন করা হয়েছে, বিশ্বসাহিত্যে ছােটগল্পের আঙ্গিক, উপস্থাপনা ও বিষয়বৈচিত্র্যের বাকবদল ধরতে গেলে এই গল্পগুলাের পাঠ উপকারী হবে। শুধু গল্পের বিবেচনাতেই এক সংকলনেই এত বিচিত্র ধরনের গল্পের সাক্ষাৎ পাঠক আর কোনাে গ্রন্থে পাবেন না। একজন গল্পকারকে ভালাে করে জানতে হলে তার লেখার প্রবণতা, গল্পবিষয়ক ভাবনা ও গল্পপাঠ অপরিহার্য। এখানে সেভাবেই কনটেন্ট সাজানাে হয়েছে। তবে বইটির মূল উদ্দেশ্য কোনাে বিশেষ গল্পকারকে বা গল্পকে পাঠ করা নয়, ছােটগল্পকে জানা— এর নানা চেহারা ও রূপের বহুতল অন্বেষণ করা।