“শহীদ সিরাজী সুখের নিশানা কাব্য” বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথাঃ জীবনকে ঘিরেই কবিতা। জীবনে থাকে স্বপ্ন সাধনা আশা আকাংখা উচ্ছ্বাস ও উদ্ভাবনা। মনের গহীনে লুকায়িত কথা যেমন কবিতায় ভাষা পায় তেমনি দেখা দৃশ্য ও কবিতার শরীর হয়ে ওঠে। এভাবে অদেখা বিষয়ও কল্পনার ঘোড়ায় ভর করে ভাষা পায় কবিতায়। এভাবে কবিতা হয়ে ওঠে দেখা অদেখা অথবা অতি দেখার নান্দনিক উপস্থাপনা। অতি দেখা মানে যা সাধারনের চোখে ধরে না। জাগে না। অথবা খেয়াল করে না এমন বিষয়ই কবিদের চোখে উঠে আসে গভীরভাবে। কবি শহীদ সিরাজীর কবিতার সাথে আমি পরিচিত দীর্ঘদিন থেকেই। তার কবিতা আমি পাঠ করি। নজর রাখি কবিতার প্রতি। তিনি কি লিখছেন। কিভাবে লিখছেন। তার কবিতার বিষয় এবং আঙ্গিক কি ইত্যাদি। শহীদ সিরাজীর কবিতা আমাকে আপ্লুত করে। নিজের মতো বলার চেষ্টা তার কবিতাকে অন্যমাত্রা দিয়েছে। তিনি বড়দের জন্য লেখেন। ছোটদের জন্যেই লেখেন। এই বইটি মূলত; কিশোর কবিতার বই। কিশোর কবিতা হলেও অনেক কবিতাই অপেক্ষাকৃত ভারী। তবুও বলতেই হবে তিনি হৃদয় মিশিয়ে তার কবিতা নির্মাণ করেছেন দিয়েছেন ভাষা। তার কবিতার ভাষা স্বচ্ছল অন্তমিল সুন্দর । কোথাও খানিকটা অসংগতি থাকলেও অধিকাংশ অন্তমিল সুন্দর এবং সাবলীল। শহীদ সিরাজীর এই বইয়ের কবিতাগুলো বিষয়ের দিক থেকে বেশ বৈচিত্র পূর্ণ। কবিতায় স্বপ্ন কল্পনা আছে। আশাবাদ আছে জীবনকে আশার আঙিকে জাগিয়ে দেবার প্ররোচনা আছে। আগামীর আনন্দ জাগানোর প্রয়াস আছে। চিত্রকল্পগুলো আমাদের চেনা জগতের। বাণী নির্ভর কবিতাগুলো পাঠককে আনন্দ দেবে বলেই আমার বিশ্বাস। কিশোরদের লক্ষ করে লেখা হলেও বড়দেরও ভালো লাগবে তার এ গ্রন্থটি কবিতা খুব পরিশ্রমের কাজ এবং সাধনার তো বটেই। কবি শহীদ সিরাজী নিশ্চয় পরিশ্রম এবং সাধনা যোগ করবেন তার কবিতায়। করেছেনও বটে ‘সুখের নিশানা কাব্য তারই নমুনা।
জাকির আবু জাফর কবি গীতিকার শিশুসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক