মেধার জোরে ফাতেমা ভর্তি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।প্রথম দিনেই সে ক্লাসে যায় বোরকা পরে,এবং এটা চলতে থাকে নিয়মিত।সহপাঠিরা তার পোষাক দেখে চমকে ওঠে ,অনেকেই ভেবে নেয় ‘গেঁয়ো’ ‘ক্ষ্যাত’ হিসেবে।এই বোরকা সে পেয়েছে ধার্মিক পিতা আর্ সামাজিক বিধি-নিষেধ থেকে।সহপাঠিরা এড়িয়ে চলে তাকে,বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় না কেউ।তার মধ্যেও দু’চারজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।ঘনিষ্ঠরা বুঝতে পারে যে,বোরকা পরা ফাতেমার মধ্যে আছে একটি স্বাধীন হওয়াের মন,এটা সে পেয়ছে তার পরিবারের আরেকজন বৃক্ষপ্রেমিক বড়চাচার কাছ থেকে।কাছের মানুষদের কাছে উন্মোচিত হয় যে,আধুনিক হতে হয় পোষাকে নয়,চিন্তায়।ফাতেমার এ নীরব লড়াই বিস্তৃত হয় পরিবারে,সমাজে,এমনকি সম্পদের উত্তারাধিকার আইনে নারীর বঞ্চনা নিয়েও ।কিন্তিু নারী অধিকার-বঞ্চিত এ সমাজে ফাতেমার লড়াইয়ের ক্ষমতাই বা কতটুুকূ্? আর এ ভাবেই সৃষ্টি হয় ’একজন পিতার গোপন অনুতাপ’।